প্রকাশিত: ১৬/০২/২০২১ ৯:৪৯ পিএম

এম.এ আজিজ রাসেল::
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, তাঁত শিল্প বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এই শিল্পকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। এই শিল্পের ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে হবে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে স্থানীয় রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের উন্নয়নে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের কক্সবাজার বেসিক সেন্টার আয়োজিত জেলার তাঁতী শিল্পীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক আরও বলেন, রেশমের সুতা উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁত শিল্পকে আরও বেশি মানসম্পন্ন করে তুলবে। কম খরচে উন্নতমানের রেশম কাপড় তৈরি করার জন্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ অপরিহার্য। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে উন্নত প্রযুক্তি আনতে হবে। এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে আমদানি করা সুতার ওপরে প্রায় ৬০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। তারপরও আমরা বিদেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছি না। সুতরাং আমাদের কোথাও না কোথাও ঘাটতি রয়েছে। আমাদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে সমস্যা অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করতে হবে, যেন আমরা বিদেশের চেয়ে ভালো মানের সুতা উৎপাদন করতে পারি।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, তাঁত শিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ধারক। এই শিল্পে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৯ লাখ এবং পরোক্ষভাবে ৬ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে।
তিনি বলেন, বছরে ৪৭ দশমিক ৪৭৪ কোটি মিটার কাপড় উৎপাদনের মাধ্যমে তাঁত শিল্প দেশের মোট বস্ত্র চাহিদার প্রায় ২৮ ভাগ পূরণ করে থাকে।
তিনি বলেন, তাঁতিদের চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ‘তাঁতিদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচী’ শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় এ পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৬৪৫ প্রান্তিক তাঁতিকে ৯ হাজার ৬শ’ ৮৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু সংলগ্ন মাদারীপুরের শিবচর ও শরিয়তপুরের জাজিরায় নির্মিত হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাঁতিদের সুতা ও রংসহ বিভিন্ন কাঁচামালের সুবিধা দেওয়া হবে। নির্মিত হবে আন্তর্জাতিকমানের প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্রখাতের অধিকাংশ যোগান তাঁত শিল্প থেকে আসে। আর জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁত শিল্পের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সরকারও সে কারণে এই শিল্পের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বেসিক সেন্টার কার্যালয়ের লিয়াঁজো কর্মকর্তা আবু ইউসুফসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, তাঁত বোর্ডের সদস্য, স্থানীয় তাঁতী শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ঈদ স্পেশাল ট্রেনেও ছিল যাত্রীদুর্ভোগ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনেও যাত্রীদের ভোগান্তির ...

উখিয়ায় বাজার নিলামে নিয়ে বিপাকে ইজারাদার : হাসিল তুলতে বাঁধা, চাঁদা দাবী!

কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া বাজাতে বেড়েছে স্থানীয় চাঁদাবাজ চক্রের উপদ্রব। তাদের হাত থেকে রেহাই ...