প্রকাশিত: ০৮/০৪/২০২১ ৯:৪৫ এএম

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের পৌনে দুই লাখ প্রমাণ সংগ্রহ করেছে ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের এমপিদের গ্রুপ- কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইদুংসু হ্লুতাউ (সিআরপিএইচ)। এসব প্রমাণ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে কাজে লাগাতে চান তারা।

প্রসঙ্গত, সেনাশাসনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে চরম দমন–পীড়ন চালাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। রাজপথে নির্বিচার গুলি চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ বলছে গ্রুপটি।

বুধবার (০৭ এপ্রিল) সিআরপিএইচ জানায়, বিক্ষোভ–গুলি–অত্যাচার–নির্যাতন–হত্যার ঘটনা এখন মিয়ানমারবাসীর নিত্যসঙ্গী। এই পরিস্থিতিতে জান্তার বিরুদ্ধে অত্যাচার–নির্যাতনের ১ লাখ ৮০ হাজার প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পরে জান্তার হাতে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) ক্ষমতাচ্যুত সাংসদের এই গ্রুপের আইনজীবী আজ জাতিসংঘের তদন্তকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তিনি সংগ্রহ করা তথ্যপ্রমাণ জান্তার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে কাজে লাগানোর সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন।

এক বিবৃতিতে সিআরপিএইচ বলছে, সংগ্রহ করা তথ্যে ক্ষমতা দখলকারী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। ৪৫০ জনের বেশি মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে সেনারা। আটক থাকা অবস্থায় নির্যাতনে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমাতে গুলি ছুড়েছে সেনা–পুলিশ।

দুই মাসের বিক্ষোভে মিয়ানমারে জান্তার গুলিতে অন্তত ৫৮১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে অধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)।

নিহতের তালিকায় প্রায় ৫০ শিশু রয়েছে। সাংবাদিকসহ আটক হয়েছেন ৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি। তাদের মধ্যে এখনো ২ হাজার ৭৫০ জন আটক রয়েছেন।

প্রতিদিনই বিক্ষোভ চলছে মিয়ানমারের রাজপথে। তবে বিক্ষোভের নামে মিয়ানমারকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং।

এক বিবৃতিতে তিনি জানান, আশপাশের দেশগুলোয় বিক্ষোভ হয়, তবে তা ব্যবসা ধ্বংস করে নয়। মিয়ানমারে বিক্ষোভের নামে রাস্তা বন্ধ রাখা হচ্ছে। হাসপাতাল, অফিস, কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ বন্ধ রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে

পাঠকের মতামত