প্রকাশিত: ২৩/০৮/২০১৯ ৬:৫৭ পিএম

প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত দ্বিপক্ষীয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মাধ্যমে মায়ানমার সরকার বাংলাদেশ সরকারকে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রাপ্ত এমন ৩,৪৫০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা দিয়েছিল। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ইউএনএইচসিআর এ প্রক্রিয়ায় মায়ানমারের সংশ্লিষ্টতাকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখে যা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার অধিকারকে আরও সুদৃঢ় করে ।

এসব শরণার্থীরা মায়ানমারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন কিনা এবং তারা সেটা স্বেচ্ছায় ও স্বতন্ত্রভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে জরীপের মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করছে।

শরণার্থীরা মায়ানমারে ফিরে যেতে চান কিনা তা জানার জন্য গত কয়েক দিন যাবত ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাড়ি পরিদর্শন করেছে । যাদের সাথে কথা হয়েছে তাদের মধ্যে কেউই ইঙ্গিত দেননি যে তারা এ মুহূর্তে ফিরে যেতে চান । এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করার কাজ ইউএনএইচসিআর অব্যাহত রাখবে যাতে যারা ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন তাদের প্রত্যেকের সাথে সাক্ষাত করা যায় । শরণার্থীদের সিদ্ধান্তকে সম্মান দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক প্রতিশ্রুতিকে ইউএনএইচসিআর গভীরভাবে প্রশংসা করে ।

শরণার্থীদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের সরকারের সাথে সম্মত হয়েছে। এসকল নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলে সেটি বাস্তবিক ক্ষেত্রে এই প্রত্যাবাসনকে টেকসই করবে। এই সপ্তাহে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাথে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এবং ইউএনএইচসিআর-এর আলোচনায় এটি নিশ্চিত হয়েছে। অনেকেই বলেছেন যে পরিস্থিতি অনুকূল হওয়া এবং মিয়ানমারে তাঁদের নাগরিকত্ব, চলাচলের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথেই তারা মিয়ানমারে তাঁদের নিজেদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আশা রাখেন।
এই প্রক্রিয়া সফল করতে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করা অপরিহার্য। জুলাই মাসের শেষ দিকে মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ বাংলাদেশের ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ ছিল এবং আলোচনা অব্যাহত থাকা উচিত । ইউএনডিপি’র সাথে একযোগে ইউএনএইচসিআর দ্রুত প্রভাব ফেলে এমন কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে মায়ানমার সরকারের প্রচেষ্টাকে সাহায্য করছে যা রাখাইন রাজ্যের সকল সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি এবং তাদের মধ্যে সামাজিক সম্পৃতি উন্নয়ন করতে সহায়তা করবে যাতে এর ফলে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন এবং পুনঃঅন্তর্ভুক্তিকরণ সম্ভব হয়। তবে, রাখাইন রাজ্যের সম্ভাব্য প্রত্যাবাসনের অঞ্চল সমূহে ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপি’র জন্য প্রত্যাশিত এবং কার্যকরি প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য প্রাসঙ্গিক সকল কর্তৃপক্ষের শরণার্থীদের সাথে সংশ্লিষ্টতা চলমান রাখতে হবে। এটি এক বারে সম্পন্ন হওয়ার মত কোনও বিষয় নয়, বরং এটি একটি প্রক্রিয়া। ইউএনএইচসিআর এই প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট উভয় দেশের সরকারকে সহায়তা প্রদান করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ঈদ স্পেশাল ট্রেনেও ছিল যাত্রীদুর্ভোগ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনেও যাত্রীদের ভোগান্তির ...

উখিয়ায় বাজার নিলামে নিয়ে বিপাকে ইজারাদার : হাসিল তুলতে বাঁধা, চাঁদা দাবী!

কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া বাজাতে বেড়েছে স্থানীয় চাঁদাবাজ চক্রের উপদ্রব। তাদের হাত থেকে রেহাই ...