ডেস্ক রিপোর্ট::
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ৯ কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ৮ জন উপ-সচিব ও একজন সিনিয়র সহকারী সচিবকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়।
‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ ও ‘মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী তাদের এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কাজী আবেদ হোসেন ও মো. মোখলেছুর রহমানকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তারা ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩’ এর ৩২ ও ৩৫ ধারা বাস্তবায়নে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারবেন।
অভিবাসী আইনের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা রিক্রুটিং এজেন্ট সরকার বা ব্যুরোর (জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) পূর্বানুমোদন ছাড়া বৈদেশিক কর্মে নিয়োগের উদ্দেশ্যে বা অভিবাসনবিষয়ক কোনো বিজ্ঞাপন প্রকাশ বা প্রচার করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এজন্য সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং কমপক্ষ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
৩৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি এই আইনে সুনির্দিষ্টভাবে দণ্ডের বিধান উল্লেখ নেই এমন কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন তাহলে তিনি সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অন্যদিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. ছিদ্দিকুর রহমান, মো. জিল্লুর রহসান, শ্যামলী নবী, সাবরিনা শারমিন জাহান, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, নূর আলম ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
তারা ‘দ্য গভর্নমেন্ট অ্যান্ড লোকাল অথরিটি ল্যান্ডস অ্যান্ড বিল্ডিং (রিকভারি অব পজেশন অর্ডিন্যান্স, ১৯৭০)’ বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। তাদের কাজের অধিক্ষেত্র হবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা।
ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার আগে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাবেন। এছাড়া প্রতি মাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার তথ্য নির্ধারিত হবে পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে, তা সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠাবেন বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত