প্রকাশিত: ০৯/০৮/২০১৬ ৭:৪৪ এএম

বর্তমান সময়ে ছেলে বা মেয়ে দেখার রীতি বদলে গেছে অনেকটাই। এখন মেয়ে বা ছেলের বিয়ে দিতে গেলে শুধু পছন্দ হলেই চলে না। তাদের বেশ কিছু মেডিক্যাল টেস্ট করানোরও পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

কিন্তু পাত্র বা পাত্রীর কী কী মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো উচিত, সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আবার এ প্রজন্মের অনেকেই এ বিষয়ে সচেতন হলেও বিষয়টি নিয়ে এগোতে তাদের অনীহা দেখা যায়। কিছুটা লজ্জা, কিছুটা ভয়ও বটে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে ভয় বা লজ্জা না পেলে পরবর্তী জীবনটা অনেকটাই সুখকর হয়।

বিয়ের আগে কী কী মেডিক্যাল টেস্ট করানো উচিত সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

রক্তের গ্রুপ :
পাত্র বা পাত্রীর ব্লাড গ্রুপ জানা একান্ত জরুরি। কারণ, নেগেটিভ ও পজিটিভ ব্লাড গ্রুপের ছেলে-মেয়ের বিয়ে হলে পরবর্তী সময়ে সন্তান ধারণে বিপত্তি দেখা যায়। অনেক সময় গর্ভেই সন্তানের মৃত্যু হয়। কিংবা জন্মের পর সন্তান জন্ডিসে আক্রান্ত হতে পারে। মস্তিষ্কেরও ক্ষতি হতে পারে।

যৌনসংক্রমণ সংক্রান্ত পরীক্ষা :
পাত্র বা পাত্রীর শরীরে কোনো যৌন সংক্রমণ আছে কি না, সেটা জেনে নেওয়া জরুরি। একমাত্র মেডিক্যাল টেস্টই বলে দিতে পারে পাত্র বা পাত্রীর HIV, গনোরিয়া, সিফিলিসের মতো যৌনরোগ আছে কিনা।

শুক্রাণু পরীক্ষা :
অনেক সময় সন্তান ধারণে অসুবিধার মুখে পড়তে হয় স্বামী বা স্ত্রীকে। এর কারণ হতে পারে স্বামী বা স্ত্রীয়ের অক্ষমতা। পুরুষের যদি কোনো অক্ষমতা থেকে থাকে, তা বিয়ের আগে শুক্রাণু পরীক্ষা করালেই ধরা পড়তে পারে।

এ ছাড়াও আরো কিছু বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। পাত্র বা পাত্রীর কোনো মানসিক সমস্যা আছে কিনা, সে সম্পর্কে আপনার চোখই শেষ কথা। এর জন্য পাত্র বা পাত্রীর আচরণ ব্যবহারের ওপর নজর রাখুন। পাত্র বা পাত্রী কেমন স্বভাবের? ছেলে বা মেয়ে সমকামী হলে, পাছে সমাজের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়, সে জন্য অনেক পরিবারই বিষয়টি চেপে যায়। এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। প্রয়োজনে সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন।

পাঠকের মতামত

একটি পেঁয়াজের ওজন ৯ কেজি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ ফলাতে সক্ষম হয়েছেন ব্রিটিশ এক কৃষক। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ...