প্রকাশিত: ১০/০৭/২০১৮ ১০:১২ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৫৫ এএম
‘থাম লুয়াং’ গুহার প্রবেশ মুখ। এই গুহাতেই ১৭ দিন ধরে থাইল্যান্ডের একটি কিশোর ফুটবল দল আটকা পড়েছিল। ফাইল ছবি: রয়টার্স

‘থাম লুয়াং’ গুহার প্রবেশ মুখ। এই গুহাতেই ১৭ দিন ধরে থাইল্যান্ডের একটি কিশোর ফুটবল দল আটকা পড়েছিল। ফাইল ছবি: রয়টার্স
চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’ গুহায় পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য বাড়তি পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা।

এ গুহাতেই কিশোর ফুটবল দলটি প্রায় ১৭ দিন আটকা পড়েছিল। গত ২৩ জুন ফুটবল দলের ১২ সদস্য ও তাদের কোচ গুহায় প্রবেশের পর আটকা পড়ে।

নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে দলটির সন্ধান পাওয়ার পর রুদ্ধশ্বাস অভিযানের মধ্য দিয়ে তাদেরকে গুহা থেকে বের করে আনা হয়। একাজে ৯০ জন বিশেষজ্ঞ ডুবুরিকে তিনদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে।

দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা এ অভিযানে গোটা বিশ্বের মনযোগ ছিল গুহাটির দিকে।

মঙ্গলবার পুরো দলকে উদ্ধারের পরই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা গুহার বাইরে ও ভেতরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে গুহার প্রবেশমুখ ও বের হওয়ার পথে নজরদারি বাড়ানো হবে। এই গুহা এখন বিশ্ববিখ্যাত হয়ে গেছে….আমরা গুহার ভেতর আরও লাইট লাগাব এবং আরও সাইন বোর্ডের ব্যবস্থা করব।”

‘সব কিছু ঠিকঠাক করতে’ কিছুদিন গুহায় জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “এটা একটি বিপদজনক গুহা।”

তবে যত বিপদজনকই হোক না কেন, গত দুই সপ্তাহে থাম লুয়াং গুহা যেভাবে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে তাতে এর প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে।

পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করতে গুহাটি নিয়ে প্রচার চালানোর পরিকল্পনার কথা গত সপ্তাহেই জানিয়েছিল থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষ (টিএটি)।

টিএটির প্রাদেশিক পরিচালক করুণা দিচাতিওয়াং বলেন, “গুহাটি এখন স্থানীয় এবং বিদেশি উভয় পর্যটকদের কাছেই দারুণ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।”

থাইল্যান্ডের উত্তরের পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক গুহা আছে। যেগুলোর বেশ কয়েকটিতে এখনও মানুষের পা পড়েনি।

পাঠকের মতামত