প্রকাশিত: ৩০/০৭/২০১৮ ৬:০৯ পিএম , আপডেট: ১৬/০৮/২০১৮ ১১:৫৯ পিএম

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নিরসনে রাজস্বখাতভুক্ত নতুন করে আরও ১২ হাজার ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পার্বত্য তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ব্যতীত এ দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। সোমবার এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। আগামী ১ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়ে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চাকরিবিধি অনুযায়ী আবেদনের ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এতে পুরুষদের জন্য স্নাতক বা সমমানের দ্বিতীয়/বিভাগ বা শ্রেণিতে পাশ থাকতে হবে। আর নারীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয়/বিভাগ/সমমানে পাশ হতে হবে।

আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে

    dpe.teletalk.com.bd

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন কার্যক্রম আগামী ১ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়ে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। আবেদন করার পর প্রার্থীকে পরীক্ষার ফি বাবদ অফেরতযোগ্য সার্ভিস চার্জসহ ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা যে কোনো টেলিটক মোবাইল নম্বর হতে এসএমএসের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে হবে।

ডিপিই সূত্র জানায়, বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক শূন্য রয়েছে। এ কারণে নতুন করে রাজস্বখাতভুক্ত আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পুরনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ফলে নারী আবেদনকারীদের ৬০ শতাংশ কোটায় এইচএসসি বা সমমান পাশ এবং পুরুষের জন্য ৪০ শতাংশ কোটায় স্নাতক বা সমমান পাশ রাখা হয়েছে।

ডিপিই’র মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে বলেন, নতুন করে রাজস্ব খাতে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন নিয়োগ বিধিমালার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় পুরনো নিয়োগ বিধির আলোকে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সে অনুযায়ী আগের সব বিষয় বহাল থাকবে।

পাঠকের মতামত

নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, এখন বিসিএস ক্যাডার

গল্প-আড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয়জীবনটা উপভোগের সুযোগ আবদুল মোত্তালিবের হয়নি। দুপুর গড়ালেই তাঁকে ছুটতে হতো কাজে। অসচ্ছলতার কারণে ...