প্রকাশিত: ২৮/১০/২০১৮ ৯:৪৬ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত ৭ দফা দাবি ও ১১ লক্ষ্য সম্বলিত চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদল প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের লেখা চিঠি ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে হস্তান্তর করে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লেখা চিঠি দুটি গ্রহণ করেন দলের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

পরে তিনি প বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের দুটি চিঠি আমি হাতে পেয়েছি। খুলে দেখিনি। যথাযথ জায়গায় এগুলো পৌঁছে দেয়া হবে।’

কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানানো হয়। পরে তারা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে চলে যান।

ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিকও যুগ্ম-মহাসচিব আ ও ম শফিউল্লাহ।

এরপরই ঘুরেফিরে আসছে আওয়ামী লীগের সাবেক এই নেতা প্রধানমন্ত্রীকে কী লিখেছেন? পাঠকদের জন্য ড. কামাল হোসেনের লেখা চিঠি নিচে হুবহু তুলে দেয়া হলো—

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও

সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

গণভবন, ঢাকা।

বাংলাদেশ।

প্রিয় মহোদয়

শুভেচ্ছা নেবেন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা।

যে সকল মহান আদর্শ ও মূল্যবোধ আমাদের জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে উজ্জীবিত ও আত্মত্যাগের উদ্বুদ্ধ করেছিল- তার অন্যতম হচ্ছে ‘গণতন্ত্র’। গণতন্ত্রের প্রথম শর্তই হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ জনগণের পক্ষে জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে এবং জনগণকে শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে- রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ও শাসনকার্য পরিচালনা করবে- এটাই আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার।

আপনি নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনকে একটি মহোৎসব মনে করে। ‘ব্যক্তির এক ভোট’ এর বিধান জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধুই নিশ্চিত করেছেন- যা রক্ষা করা আমাদের সকলের সাংবিধানিক দায়িত্ব।

ইতিবাচক রাজনীতি একটা জাতিকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের ন্যায়সংগত অধিকারসমূহ আদায়ের মূলশক্তিতে পরিণত করে- তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। নেতিবাচক রুগ্ন-রাজনীতি কিভাবে আমাদের জাতিকে বিভক্ত ও মহাসঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, তাও আমাদের অজানা নয়। এ সংকট থেকে উত্তরণ ঘটানো আজ আমাদের জাতীয় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ৭ দফা দাবি ও ১১ দফার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে- জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাথে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে এবং সে লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।

আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি

বিঃ দ্রঃ- অত্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, এর সাত দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সংযুক্ত করা গেল।

ধন্যবাদান্তে

ড. কামাল হোসেন

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীদের নিতে জাহাজ আসবে এ সপ্তাহেই

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসা দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফের ...