প্রকাশিত: ৩১/০৮/২০১৭ ৭:২৭ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:১৯ পিএম

সৌদি আরব প্রতিনিধি::
আজ পবিত্র হজ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ২০ লাখ হাজি। তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ ২৭ হাজার ২২৯ জন হজ পালন করছেন। ধবধবে সাদা দু’টুকরো ইহরাম পরিহিত অবস্থায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় লাখ লাখ হাজীর কণ্ঠে উচ্চারিত হবে, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি মাতা লাকা ওয়ালমুল লাশারিকালাক’। এর বাংলা অর্থ হচ্ছে, ‘আমি হাজির। হে আল্লাহ আমি হাজির। তোমার কোনো শরিক নেই। সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধুই তোমার। সব সা¤্রাজ্য তোমার।’
আজ ফজরের নামাজের পর থেকে আরাফাত ময়দান ও মসজিদ নামিরায় জড়ো হয়েছেন লাখ লাখ হাজি। এরপর জোহরের নামাজের আগে হজের খুতবা পাঠ করবেন মক্কার গ্র্যান্ড ইমাম। খুতবা পাঠশেষে হাজিরা জোহর ও আছরের নামাজ একসাথে আদায় করবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহ তা’আলার জিকির–আসকারে ব্যস্ত থাকবেন। সূর্যাস্তের পর হাজীদের গন্তব্য মুজদালিফার দিকে। সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় কওে সেখানে রাতযাপন করবেন। মুজদালিফা থেকে পাথর সংগ্রহ করে শুক্রবার মিনায় ফিরে যাবেন।
হজের তৃতীয় দিন ১০ জিলহজ শুক্রবার মিনায় পৌঁছার পর হাজীদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। প্রথমে মিনাকে ডানদিকে রেখে হাজীরা দাঁড়িয়ে শয়তানকে (জামারা) পাথর নিক্ষেপ করবেন। দ্বিতীয় কাজ আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি করা। অনেকেই মিনায় না পারলে মক্কায় ফিরে গিয়ে পশু কোরবানি দেন। তৃতীয় পর্বে মাথা ন্যাড়া করা। চতুর্থ কাজ তাওয়াফে জিয়ারত। হাজীরা মক্কায় ফিরে কাবা শরীফ ‘তাওয়াফ’ ও ‘সাঈ’ (কাবার চারদিকে সাতবার ঘোরা ও সাফা–মারওয়া পাহাড়ে সাতবার দৌড়ানো) করে আবার মিনায় ফিরে যাবেন।
জিলহজের ১১ তারিখ (২ সেপ্টেম্বর) শনিবার মিনায় রাতযাপন করে দুপুরের পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হাজীরা বড়, মধ্যম ও ছোট শয়তানের ওপর সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ করবেন। আর এ কাজটি করা সুন্নত। পরদিন ১২ জিলহজ (৩ সেপ্টেম্বর) রবিবার মিনায় অবস্থান করে পুনরায় একইভাবে হাজীরা তিনটি শয়তানের ওপর পাথর নিক্ষেপ করবেন। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা শেষ হলে অনেকে সূর্যাস্তের আগেই মিনা ছেড়ে মক্কায় চলে যান। আর মক্কায় পৌঁছার পর হাজীরা কাবা শরীফে (স্থানীয়রা ছাড়া) বিদায়ী তাওয়াফ অর্থাৎ কাবা শরীফ পুনরায় সাতবার চক্কও দেয়ার মাধ্যমে হাজীরা সম্পন্ন করবেন পবিত্র হজ পালন।
এবার হজে মক্কা নগরীসহ আরাফাত মিনা মুজদালিফায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাজিদের পরিচয় নিশ্চিতের জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ইলেকট্রনিক ব্রেসলাইট সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি হাজিদের পিপাসা নিবারনের জন্য ১৫ লাখ গ্যালন জমজমের পানি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

কাবায় শায়েখ সুদাইসের অশ্রুসিক্ত মোনাজাত: ‘হে আল্লাহ ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের বিজয় দান করুন’

বিভিন্ন রঙ ও জাতি এবং বিচিত্র ভাষা, কোনোকিছুই তাদেরকে মগ্ন করতে পরেনি। ইসলামের সৌন্দর্য সমস্ত ...

আজ পবিত্র শবে কদর

পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর আজ শনিবার (০৬ মার্চ)। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের ...

মালদ্বীপে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে তারাবি পড়াচ্ছেন বাংলাদেশি হাফেজ কামরুল

রমজানে মসজিদে মসজিদে পবিত্র কোরআন খতম মুসলিম বিশ্বের ঐতিহ্য। এ জন্য বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি হাফেজদের রয়েছে ...