প্রকাশিত: ১৬/০১/২০১৮ ৮:২৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৮:০০ এএম

আতিকুর রহমান মানিক::
সাগর ও নদ-নদীর মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী নিষিদ্ধ বিভিন্ন প্রকার জাল নির্মূলে উপকূলীয় জেলাসমূহে অভিযান শুরু হয়েছে। সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই “সম্মিলিত বিশেষ অভিযান-২০১৮” পরিচালনার জন্য গঠিত জেলা টাস্কফোর্স কমিটি গত ১৫ জানুয়ারী থেকে কক্সবাজারেও অভিযান শুরু করেছে। এর আওতায় মঙ্গলবার কক্সবাজার ও মহেশখালীতে সাড়ে দশ লক্ষ টাকা মূল্যের ২ লাখ মিটারেরও বেশী অবৈধ বেহুন্দিজাল, কারেন্টজাল এবং চরজাল জব্দ করা হয়েছে। এসময় জালসহ আটক ৯ জেলের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
কক্সবাজার মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড, মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন ও বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
কক্সবাজারে অভিযানে নেতৃত্ব প্রদানকারী ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) ডঃ মঈন উদ্দীন আহমদ বলেন, উপরোক্ত অপারেশনের অংশ হিসাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে শহর সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট, মোহনা, নাজিরারটেক-সোনাদিয়া চ্যানেল ও মহেশখালী চ্যানেলে অভিযান শুরু হয়। দিনব্যাপী এ অভিযানে সোনাদিয়া সাগর চ্যানেল ও নাজিরারটেক চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে চলাচলকারী ফিশিং বোট তল্লাশী করে বড় আকারের ২ টি চরজাল ও ৯টি বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়। এসময় বিভিন্ন ফিশিং বোটের লাইসেন্সও চেক করা হয়। জব্দকৃত জাল বিকালে কক্সবাজার ৬ নং ঘাটের অদুরবর্তী চর এলাকায় জনসমক্ষে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-প্রধান ফেরদৌস আহমেদ ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডঃ মোঃ আবদুল আলীম এসময় উপস্হিত ছিলেন। কোস্টগার্ড কক্সবাজার ষ্টেশনের পেটি অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কোস্টগার্ড ফোর্স ও মৎস্য অধিদপ্তরীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযানে অংশ নেন।
এদিকে উপরোক্ত অভিযানের অংশ হিসাবে মঙ্গলবার দুপুরে মহেশখালীতেও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুই লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ছাবেদুল হক। গোরকঘাটা জেটিঘাট থেকে এসব জালসহ ৯ জেলেকে আটক করে প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবুল কালাম। পরে বিকালে উপজেলা চত্বরে জনসমক্ষে এসব জাল পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। উভয় অভিযানে জব্দ ও ধ্বংসকৃত জালের আনুমানিক মূল্য সাড়ে দশ লক্ষ টাকা হবে জানিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডঃ মোঃ আবদুল আলীম বলেন, সাগরের মৎস্য সম্পদ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...