প্রকাশিত: ০৬/০৬/২০১৮ ৯:১৫ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:০৭ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
কক্সবাজারের টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত ছিলেন না বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা যুবলীগের নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তারা এ তথ্য জানান। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তও দাবি করেন তারা।

সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসায় যান। এ সময় তারা একরামুল হকের সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। তারা জানান, একরামুল হক মাদক ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন না। কোনো ভুল তথ্যের ভিত্তিতে হয়তো ওই অভিযান চালানো হয়। যুবলীগ নেতারা একরামুলের পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা করারও অনুরোধ জানিয়েছেন।

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল সমকালকে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনোযোগ দিয়ে তাদের বক্তব্য শুনেছেন। এর পর তিনি বলেছেন, বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে ঘটনাটির। তবে এ ঘটনায় চলমান মাদকবিরোধী অভিযান ব্যাহত হবে না। মাদকের সঙ্গে জড়িত কেউ রেহাই পাবে না বলেও জানান তিনি।

এদিকে একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম সমকালকে জানান, গতকাল রাত পর্যন্ত কোনো সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা বা তদন্ত-সংশ্নিষ্ট কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তিনি এখন দুই মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রামের এক আত্মীয়ের বাসায় আছেন।

গত ২৬ মে কক্সবাজারে মাদকবিরোধী অভিযানে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন একরামুল হক। পরে মোবাইল ফোনে রেকর্ড হওয়া একটি অডিও প্রকাশ করে তার পরিবার। ওই অডিওতে একরামুলের সঙ্গে তার পরিবারের শেষ সময়ের কথোপকথন ছিল। শেষবারের কলটি রিসিভ হলেও একরামুল কথা বলেননি। তবে সেখানে গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এ অডিওটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব সদর দপ্তর।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...