প্রকাশিত: ১৭/০৫/২০১৯ ১১:৪২ পিএম

নিজস্ব প্রতিনিধি ::
মানবপাচারে বাধা দিতে গিয়ে সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে উসমান গনি নামের এক ব্যক্তি। গুরুতর আহত সে এখন সদর হাসপাতালে চিকিংসাধীন।

জানা গেছে,কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের মারমেইড পয়েন্টে গত ১৬ মে রাত ৯ টার দিকে মালেয়শিয়া পাচার করার জন্য ২০ জন মহিলা ও ১৫ জন যুবককে জড়ো করে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্যাশিয়া গ্রামের চিস্থিত মানবপাচারকারী সেলিম ও আলমগীর। পাচারকারী চক্র মহিলা ও যুবকদের মাছ ধরার বোটে তোলার সময় বাধা প্রধান করে সেখানে মাছ ধরতে যাওয়া স্থানীয় পেঁচারদ্বীপ গ্রামের মোজাফফর বাধা প্রধান করে পুত্র উছমান গনি। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে মানবপাচারের হোতা সেলিম ও আলমগীর বাধা হয়ে দাঁড়ানো উসমান গনি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উপর্যুপূরী কুপিয়ে আহত করে মহিলা ও যুবকদের বোটে তোলে দেয়। এতে উসমান গনির মাথা ও শরীরে গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় জনগণ উসমান গনিকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পাশাপাশি পাচারকারী সেলিম ও আলমগীরকে গনধোলাই দিয়ে হিমছড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে। কিন্ত অদৃশ্য কারনে ঐ দিন রাতে আধারেই পুলিশ পাচার কারীদের ছেড়ে দেয়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হিমছড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমগীর মানবপাচারের কথা অস্বীকার করে বলেন,আমি যতদূর জানি সেখানে ঐদিন রাতে মাছ ধরা নিয়ে মারামারি হয়েছে। মানবপাচারকারী সন্দেহে স্থানীয় জনগন ২ জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তবে মন্ত্রী পরিষদ সচিব মহোদয়ের ভাই ফরিদ সাহেবের অনুরোধে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...