প্রকাশিত: ২১/০৩/২০১৭ ১০:৫১ এএম , আপডেট: ২১/০৩/২০১৭ ১১:১১ এএম

সরওয়ার আলম শাহীন,
উখিয়া নিউজ ডটকম::
চোঁখে চশমা,হাতে চিকিৎসার যন্ত্রপাতি,ফার্মেসীর ভিতরে চেম্বার,চেম্বারে রোগীর লাইন,রোগীদের দেখেশুনে লিখছেন প্রেসক্রিপশন,দিচ্ছেন দিক নির্দেশনা। অনেক সময় করেছেন কাঁটাছেড়াও। বেশভূষা সহ কথা বলার ড়ংগে মনে হবে এ কোন ডিগ্রীধারী ডাক্তার। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এসব ভূয়া ডাক্তার পরিচয়ধারীরা উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা। এরকম প্রায় দু,ডজন ভূয়া ডাক্তার কুতুপালং বাজারে ফার্মেসীর আড়ালে চেম্বার করে দিব্বি চালিয়ে যাচ্ছে ডাক্তারগিরি। এদের মধ্যে কুতুপালং বাজারের শেষ প্রান্তের কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক লাগোয়া সেলিম উল্লাহ ও বাজারের ভিতরে জহিরের ফার্মেসীতে বসা খোরশেদ আলমের নামডাক একটু বেশী। এসব ভূয়া ডাক্তারদের অপ-চিকিৎসায় প্রতারিত হচ্ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সহ স্থানীয়রা। এসব ভুয়া ডাক্তাররা অবৈধ ফার্মেসী দিয়ে ডাক্তারি করায় ফার্মেসী খাতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
সম্প্রতি কুতুপালং বস্তি ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায় প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ ফার্মেসীতে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি চিকিৎসা দিচ্ছে এসব ভুয়া ডাক্তার। এসব ডাক্তারদের মধ্যে ডাক্তার নামধারী রোহিঙ্গা সেলিম উল্লাহ ও খোরশেদ আলমের ফার্মেসির পেছনের চেম্বারে রোগীর সংখ্যা বেশী। তাছাড়া স্থানীয় প্রসাশন ও প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে চালাচ্ছে ডাক্তারগিরি। এছাড়াও প্রায় দু,ডজন রোহিঙ্গা ডাক্তারী চালিয়ে বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এ কুতুপালং বাজারে। এ ব্যপারে জানতে চাইলে রোহিঙ্গা ডাক্তার সেলিম, ডাক্তার নুরু ও ডাক্তার আব্দুল্লাাহ জানায়, তারা ক্যাম্প পুলিশকে ম্যানেজ করে ওষুধের ব্যবসা চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন বেশ কয়েকবার কুতুপালং ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে জরিমানা সহ বেশ কয়েকটি অবৈধ ফার্মেসী বন্ধ করে দিলেও এসব রোহিঙ্গারা ক্যাম্প পুলিশকে ম্যানেজ করে রমরমা ওষুধ বাণিজ্য চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। তাদেরকে ওষুধ সরবরাহ দিচ্ছে বিভিন্ন অখ্যাত কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা।ওষুধ প্রশাসনের শর্ত অনুযায়ী ফার্মেসীতে একজন করে স্বীকৃত ফার্মাসিস্ট দিয়ে সনদপ্রাপ্ত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ বিক্রয়ে বাধ্য বাধকতা থাকলেও এখানে তা মানা হচেছ না। এছাড়া উখিয়া উপজেলা সদর, পালংখালী, থাইংখালী, বালুখালী, কোটবাজার, মরিচ্যা, সোনারপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায় ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধভাবে গড়ে ওঠা লাইসেন্সহীন ফার্মেসীতে ফার্মাসিস্ট ছাড়াই ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও বেশী মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। অবৈধ আয়ের মাধ্যমে রাতারাতি বড় লোক হওয়ার আশা করে অনেকেই এখন ফার্মেসী বাণিজ্যে নেমে পড়ায় দিন দিন ফার্মেসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মিসবাহ আহমেদ জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা ডাক্তার সহ অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা ফার্মেসীর বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...