
ঢাকা: বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৯০ পরবর্তী দেশের কোনো সঙ্কটেই এক টেবিলে বসতে দেখা যায়নি। বিশেষ করে গেল এক দশকে এই তিক্ততা আরো বেড়েছে। পরস্পরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ পরস্পরের।
রাজনীতির মাঠে প্রায় সময় বক্তৃতায় একে অপরকে আক্রমণ করতে পিছপা হন না। বিশেষ করে ২০১৫ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর তাদের মধ্যকার সম্পর্কের তিক্ততা অনেকে বেড়েছে বলেই ধারণা অনেকেরই। তবে এরই মধ্যে বেগম জিয়া তার ঘোষণা অনুযায়ী ‘এক নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে’ বুধবার ইফতারের দাওয়াত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছেন। আগামী (৫ জুন) সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রি হলরুমে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এই দাওয়াত পত্র পাঠান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই দাওয়াত কার্ড পৌঁছে দেন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইফতার মাহফিলে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের জন্য ইফতারের দাওয়াত কার্ড পৌঁছে দিয়েছেন।
পরস্পরবিরোধী মতাদর্শে বিশ্বাসী দেশের রাজনীতিতে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে এ ধরনের পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ইতিবাচক রাজনীতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিষয়টি সর্বমহলের দ্বারা প্রশংসাও কুঁড়িয়েছে।
এখন দেখার বিষয়- বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের জন্য ইফতারের যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেই ইফতারে তারা অংশ নেন কীনা। পরস্পরের দূরত্ব কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী কোনো ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন কীনা।
অনেকেই বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলে সুযোগটা গ্রহণ করতে পারেন। এতে যেমন ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নয়ন হবে, তেমনি রাজনৈতিক সম্পর্কেরও বৈরিতা কমে আসছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, বিষয় সম্পূর্ণ নির্ভর করছে নেত্রীর উপর। তিনি যা করবেন তাই হবে। তিনি এই আমন্ত্রণে সাড়াও দিতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলা যাচ্ছেন না।
বিএনপি রুহুল কবীর রিজভী বলছেন, আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রী আমাদের নেত্রীর আমন্ত্রণ রক্ষা করবেন। তারা এই আমন্ত্রণে সাড়া দিবেন, আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। সত্যিই প্রধানমন্ত্রী যদি এই আমন্ত্রণে সাড়া দেন, তবে দেশে সহনশীল গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফক হিসেবে কাজ করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিয়ের অনুষ্ঠানে এই দুই নেত্রীর দেখা হয়েছিল।
এরপর স্বৈরাচার বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর দুই নেত্রী এক সোফায় বসেছিলেন। যেখানে তাদেরকে বেশ হাস্যোজ্জ্বলভাবে কথা বলতে দেখা যায়। ঘটনাটি তখন বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে।
এরপর বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর মৃত্যুতে ফের তাদের দুজনের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিকে যায়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই নেত্রীর আরো একবার দেখা হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। সে সময় রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় আলোচনার জন্য তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় শেখ হাসিনার সঙ্গে খালেদা জিয়ার আর দেখা হয়নি। বরং দুই নেত্রীর মধ্যে টেলিসংলাপের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর রাজনীতিতে তখন ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এরপর খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর মৃত্যুতে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রী গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাড়ি থেকে নেমে কার্যালয়ের সামনে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ফিরে যান।
পরে এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে চলে পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী এলেও দরজা না খোলা রাজনৈতিক শিষ্টাচার নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। তিনি ওই সময় বলেন, এখানে কোনো রাজনীতি ছিল না। বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ মানবিক।
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে সামনে কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো নেতা অভ্যর্থনাও জানাননি বলে দাবি করেছিলেন ইকবাল সোবহান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট সামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ওই রাতেই গণমাধ্যমে বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার এই শোককে নিয়ে যেন কোনো নোংরা রাজনীতি না হয়, সে জন্য আমরা সকলের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এছাড়া এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধ। বিএনপির নেতারা দাবি করেন, এটা ছিল প্রধানমন্ত্রীর এক ধরনের রাজনীতি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা দাবি করেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভুত কাজ করেছেন।
অবশ্য এর আগে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোটো ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিয়ের শুভ মুহূর্তে খালেদার বাসায় গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে তাদেরকে কথা বলতে দেখা যায়।
তবে ৯০ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে ও সেনাকুঞ্জে এই দুই নেত্রীর দেখা হলেও কোনো কথা হয়নি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর দুই নেত্রী এক সোফায় বসেছিলেন।বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৯০ পরবর্তী দেশের কোনো সঙ্কটেই এক টেবিলে বসতে দেখা যায়নি। বিশেষ করে গেল এক দশকে এই তিক্ততা আরো বেড়েছে। পরস্পরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ পরস্পরের।
রাজনীতির মাঠে প্রায় সময় বক্তৃতায় একে অপরকে আক্রমণ করতে পিছপা হন না। বিশেষ করে ২০১৫ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর তাদের মধ্যকার সম্পর্কের তিক্ততা অনেকে বেড়েছে বলেই ধারণা অনেকেরই। তবে এরই মধ্যে বেগম জিয়া তার ঘোষণা অনুযায়ী ‘এক নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে’ বুধবার ইফতারের দাওয়াত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছেন। আগামী (৫ জুন) সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রি হলরুমে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এই দাওয়াত পত্র পাঠান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই দাওয়াত কার্ড পৌঁছে দেন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইফতার মাহফিলে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের জন্য ইফতারের দাওয়াত কার্ড পৌঁছে দিয়েছেন।
পরস্পরবিরোধী মতাদর্শে বিশ্বাসী দেশের রাজনীতিতে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে এ ধরনের পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ইতিবাচক রাজনীতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিষয়টি সর্বমহলের দ্বারা প্রশংসাও কুঁড়িয়েছে।
এখন দেখার বিষয়- বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের জন্য ইফতারের যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেই ইফতারে তারা অংশ নেন কীনা। পরস্পরের দূরত্ব কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী কোনো ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন কীনা।
অনেকেই বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলে সুযোগটা গ্রহণ করতে পারেন। এতে যেমন ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নয়ন হবে, তেমনি রাজনৈতিক সম্পর্কেরও বৈরিতা কমে আসছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, বিষয় সম্পূর্ণ নির্ভর করছে নেত্রীর উপর। তিনি যা করবেন তাই হবে। তিনি এই আমন্ত্রণে সাড়াও দিতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলা যাচ্ছেন না।
বিএনপি রুহুল কবীর রিজভী বলছেন, আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রী আমাদের নেত্রীর আমন্ত্রণ রক্ষা করবেন। তারা এই আমন্ত্রণে সাড়া দিবেন, আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। সত্যিই প্রধানমন্ত্রী যদি এই আমন্ত্রণে সাড়া দেন, তবে দেশে সহনশীল গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফক হিসেবে কাজ করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিয়ের অনুষ্ঠানে এই দুই নেত্রীর দেখা হয়েছিল।
এরপর স্বৈরাচার বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর দুই নেত্রী এক সোফায় বসেছিলেন। যেখানে তাদেরকে বেশ হাস্যোজ্জ্বলভাবে কথা বলতে দেখা যায়। ঘটনাটি তখন বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে।
এরপর বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর মৃত্যুতে ফের তাদের দুজনের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিকে যায়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই নেত্রীর আরো একবার দেখা হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। সে সময় রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় আলোচনার জন্য তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় শেখ হাসিনার সঙ্গে খালেদা জিয়ার আর দেখা হয়নি। বরং দুই নেত্রীর মধ্যে টেলিসংলাপের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর রাজনীতিতে তখন ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এরপর খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর মৃত্যুতে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রী গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাড়ি থেকে নেমে কার্যালয়ের সামনে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ফিরে যান।
পরে এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে চলে পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী এলেও দরজা না খোলা রাজনৈতিক শিষ্টাচার নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। তিনি ওই সময় বলেন, এখানে কোনো রাজনীতি ছিল না। বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ মানবিক।
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে সামনে কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো নেতা অভ্যর্থনাও জানাননি বলে দাবি করেছিলেন ইকবাল সোবহান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট সামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ওই রাতেই গণমাধ্যমে বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার এই শোককে নিয়ে যেন কোনো নোংরা রাজনীতি না হয়, সে জন্য আমরা সকলের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এছাড়া এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধ। বিএনপির নেতারা দাবি করেন, এটা ছিল প্রধানমন্ত্রীর এক ধরনের রাজনীতি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা দাবি করেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভুত কাজ করেছেন।
অবশ্য এর আগে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোটো ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিয়ের শুভ মুহূর্তে খালেদার বাসায় গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে তাদেরকে কথা বলতে দেখা যায়।
তবে ৯০ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে ও সেনাকুঞ্জে এই দুই নেত্রীর দেখা হলেও কোনো কথা হয়নি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর দুই নেত্রী এক সোফায় বসেছিলেন।
–
পাঠকের মতামত