প্রকাশিত: ৩১/০৮/২০১৮ ১০:৪৯ এএম

নিউজ ডেস্ক::

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি
মিয়ানমারের গণতন্ত্রের নেত্রী, মানবাধিকারের মূর্ত প্রতীক শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি। দীর্ঘদিন গৃহবন্দিসহ জান্তা সরকারের দমননীতি তিনি কম সহ্য করেননি। দুই দশকের বেশি তিনি সামরিক সরকারের রোষানলে ছিলেন। তবুও হাল ছেড়ে দেননি। দেশ ত্যাগ করেননি।
অধিকার রক্ষায় ছিলেন সচেষ্ট। কয়েক দশক পর গত বছর তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) ক্ষমতায় আসে। রাষ্ট্র শাসনের এক বছরের মধ্যে দেশের নিপীড়িত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ধর্ষণ, হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও- সবমিলিয়ে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে মেতে ওঠে তারা। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতি এতটুকু সহানুভূতি দেখাননি সু চি।
বরং সেনাবাহিনীর পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। বিশ্ব গণমাধ্যম এতে হতাশ-হতবাক। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বারবার সু চির কাছে সাক্ষাৎকারের জন্য সময় চাইলেই তিনি এড়িয়ে গেছেন। বলেছেন, আই অ্যাম ইন অ্যা মিটিং (আমি একটি বৈঠকে আছি)।

গত বছরের আগস্টে রাখাইনে গণহত্যার উদ্দেশ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে। ধর্ষণ-গণধর্ষণ, হত্যা-খুনের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা।
নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলবেন, তাদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হবেন- এটাই সু চির মাহাত্ম্য হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে গত এক বছরে তেমন কিছুই বলেননি, করেননি। যেটুকু বলেছেন সেনাবাহিনীর পক্ষে বলেছেন। নিজের গা বাঁচিয়ে গেছেন। এসব নিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যম জানতে চাইলেও সুযোগ দেননি তিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে ইঁদুর-বিড়াল খেলছেন। তাদের ধারে-কাছেও ঘেষছেন না সু চি।
গত বছরের নভেম্বরে বিবিসির পক্ষ থেকে জোনাহ ফিশার এক ক্ষুদেবার্তায় সু চির মুখপাত্রের কাছে সাক্ষাৎকারের সময় চেয়েছিলেন। দিনটি ২২ নভেম্বর। জবাবে তিনি লেখেন, আই অ্যাম ইন অ্যা মিটিং। ফিরতি এসএমএসে ফিশার লেখেন, ‘ওকে। আপনাকে কল ব্যাক করতে হবে না। আমি আপনার একটি সাক্ষাৎকার নিতে চাই। দয়া করে সময় নির্ধারণ করুন।’

মেসেজের কোনো জবাব নেই। একদিন, দু’দিন, তিনদিন পর ২৫ নভেম্বর (শুক্রবার) ফিশার আবার লেখেন, সোমবার কি সাক্ষাৎকারের জন্য সময় হবে? সু চি অথবা আপনার? দু’দিন পর তিনি আরও লেখেন, এ সপ্তাহের মধ্যেও কি একটি সাক্ষাৎকার দেয়া সম্ভব? নাছোড়বান্দা ফিশারের হাত থেকে বাঁচতে মুখপাত্র লেখেন, ‘আই অ্যাম ইন অ্যা মিটিং।’

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ব্ল্যাকলিস্ট, তালিকায় এক ডজন দেশ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ ও ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন ...

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান

রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ...

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মসূচির সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে ...