ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৯/০৮/২০২৩ ৭:২০ এএম

১৯৭৪ সালের আগে কোরোবাইরা জানতেনই না তাঁদের ছাড়াও পৃথিবীতে মানুষ আছে। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন অভিযাত্রী ও ব্লগার ড্রিউ বিনস্কি সম্প্রতি পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন জঙ্গল হিসেবে পরিচিত একটি এলাকায় গিয়েছিলেন। পাপুয়া নিউগিনিতে অবস্থিত ওই জঙ্গলটিতে মূলত নরখাদক কোরোবাই মানুষেরা বসবাস করেন।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ধর্ষ কোরোবাইদের সঙ্গে বিনস্কি একাই কিছুদিন কাটিয়ে এসেছেন।

বিনস্কির অভিজ্ঞতা থেকে জানা গেছে, একটুকরো কাপড় কিংবা গাছের বাকল দিয়ে কোরোবাই মানুষেরা তাঁদের লজ্জা নিবারণ করেন। কেউ কেউ আবার উলঙ্গ হয়েই থাকেন। আর শিকারের জন্য তাঁরা তীর-ধনুক ব্যবহার করেন।

জানা যায়, ১৯৭৪ সালে একদল নৃতাত্ত্বিক কোরোবাই মানুষদের আবিষ্কার করেছিলেন। এর আগে ওই উপজাতির মানুষেরা জানতেনই না যে, পৃথিবীতে আরও তাঁদের ছাড়াও আরও মানুষের অস্তিত্ব আছে।

কোরোবাই মানুষদের কাছাকাছি এলাকায় বসবাস করে মমুনা নামে আরেকটি উপজাতি। মূলত মমুনা উপজাতির সঙ্গেই বেশ কিছুদিন ছিলেন ড্রিউ বিনস্কি। মমুনাদের কাছ থেকেই তিনি হিংস্র কোরোবাই মানুষদের সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি জেনেছিলেন, কোরোবাইরা ক্ষুধার জন্য কিংবা নিতান্ত খেয়ালের বশে কোনো মানুষকে ভক্ষণ করে না। তাঁরা এটা করে শুধু কোনো মানুষকে শাস্তি দিতে চাইলেই।

বিনস্কি বলেন, ‘আপনি যদি কোনো কিছু চুরি করেন, তবে তাঁরা আপনাকে আগুনে ছুড়ে মারবে এবং খেয়ে ফেলবে।’

কোরোবাইরা বিশ্বাস করে খাকুয়া নামে একটি দুষ্ট রাক্ষস মানুষকে ধারণ করতে পারে এবং ওই রাক্ষস মানুষটিকে ভেতর থেকে খেতে শুরু করে। একসময় ওই মানুষটি ডাইনি বা খারাপ মানুষে পরিণত হয়। এভাবে খাকুয়ায় পরিণত হওয়া একটি মানুষ আরেকটি মানুষের ভেতরেও ভর করতে পারে। আস্থা অর্জনের জন্য নিজেদের বন্ধু বা পরিবারের সদস্য হিসাবেও ছদ্মবেশও ধারণ করতে পারে খাকুয়া।

তাই কেউ চুরি কিংবা অন্য কোনো অপরাধ করলে তার মাঝে খাকুয়া ভর করেছে বলে বিশ্বাস করে কোরোবাইরা। তাই তাকে অনুষ্ঠান করে সবাই মিলে খেয়ে ফেলে—যেন আর কোনো ক্ষতি করতে না পারে।

কোরোবাই মানুষদের দেওয়া তথ্যমতে, মানুষের মাংসের স্বাদ অনেকটা বুনো শূকরের মতো। তাঁরা একটি মানুষের চুল, নখ এবং যৌনাঙ্গ ছাড়া বাকি সবকিছুই খেয়ে ফেলেন। তবে ১৩ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদের নরমাংস খাওয়ার অনুমতি নেই। কারণ কোরোবাই মানুষেরা বিশ্বাস করেন একটি খাকুয়াকে কম বয়সীরা খেলে তার শরীরেও খারাপ কিছু ভর করতে পারে।

ইতিপূর্বে বিচ্ছিন্ন ওই জঙ্গলে কর্নেলিয়াস নামে এক গাইড কোরোবাইদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার বিষয়ে জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা করেন, এক রাতে কোরোবাইরা তাঁকে এক টুকরো মাংস দেয় এবং বলে যে এটা মানুষের মাংস। আর এটা খেতে পারলেই শুধু তাঁকে নিজেদের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেবে কোরোবাইরা। তা না হলে—ওই স্থান ত্যাগ করতে হবে।

কর্নেলিয়াস বলেন, ‘আমি মানুষের ওই মাংসের টুকরাটি খেয়েছিলাম। তারপর থেকে তাঁদের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছি

পাঠকের মতামত

৫ বছর পর জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু জান্তাশাসিত মিয়ানমারে

অবশেষে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমারে। ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের ...

মিয়ানমারে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করতে ‘নৃশংসতা’ চালাচ্ছে জান্তা: জাতিসংঘ

মিয়ানমারের জান্তা আসন্ন সেনা-নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করতে সহিংসতা চালাচ্ছে এবং ভয়ভীতিও প্রদর্শন ...

দিল্লির পর কলকাতাতেও বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ

ভারতের নয়াদিল্লির পর এবার কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের (ডেপুটি হাইকমিশন) সামনে বিক্ষোভ করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার ...

ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জাতিসংঘ মহাসচিবের, বিচার নিশ্চিতের আহ্বান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের ...

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি জানুয়ারিতে

রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। ...

জেনেভায় রোহিঙ্গা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, অগ্রগতি তুলে ধরবে বাংলাদেশ

‘গ্লোবাল রিফিউজি ফোরাম (জিআরএফ) প্রোগ্রেস রিভিউ ২০২৫’ শুরু হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ...