
জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি না দিলে দেশে আবারো ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে। যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের তরুণ প্রজন্ম জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, মা তার সন্তানকে হারিয়েছে, স্ত্রী স্বামীকে হারিয়েছে, সন্তান বাবাকে হারিয়েছে তা বিফলে যাবে। আমরা দেশে কেউ নতুন করে ফ্যাসিবাদী শাসক হয়ে উঠুক তা হতে দিতে পারি না। তাই কোন ছলচাতুরির আশ্রয় না নিয়ে জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দিয়ে সেই সনদের অধীনে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেশের একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্র দখল, প্রভাব বিস্তার, ভোট কারচুপির বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে। যা দেখে- শুনে দেশবাসীর মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে। সেই অবস্থার অবসানে এবং সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। ভোটের মাঠে কালো টাকা, কেন্দ্র দখল ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করতে অবশ্যই উভয় কক্ষে ‘পিআর’ পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের কোন বিকল্প নেই। ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে টেকনাফ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ রফিকুল্লাহ।
কক্সবাজার শহর:
কেন্দ্র ঘোষিত পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে ২৬ সেপ্টেম্বর জুমাবার বিকাল ৪:৩০ টায় কক্সবাজার হাশেমিয়া আলিয়া মাদরাসা গেইট থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কক্সবাজার পৌরসভা চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়। জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারি আল আমীন মু. সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি না দিলে দেশে আবারো ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে। যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের তরুণ প্রজন্ম জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, মা তার সন্তানকে হারিয়েছে, স্ত্রী স্বামীকে হারিয়েছে, সন্তান বাবাকে হারিয়েছে তা বিফলে যাবে। আমরা দেশে কেউ নতুন করে ফ্যাসিবাদী শাসক হয়ে উঠুক তা হতে দিতে পারি না। তাই কোন ছলচাতুরির আশ্রয় না নিয়ে জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দিয়ে সেই সনদের অধীনে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেশের একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্র দখল, প্রভাব বিস্তার, ভোট কারচুপির বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে। যা দেখে- শুনে দেশবাসীর মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে। সেই অবস্থার অবসানে এবং সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। ভোটের মাঠে কালো টাকা, কেন্দ্র দখল ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করতে অবশ্যই উভয় কক্ষে ‘পিআর’ পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের কোন বিকল্প নেই। আ’লীগ ও তার দোসররা সাড়ে পনেরো বছর দেশে জুলুম -নির্যাতন, গুম-খুন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ সকল অপরাধের বিচারের জন্য প্রশাসনিক ও আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দূর্বলতার কারণে ফ্যাসিস্ট আ’লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টি দেশের স্বাধীনতা -সার্বভৌমত্ব বিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট আ’লীগের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি এবং গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের অফিস সহকারী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান, কক্সবাজার সদর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মোস্তাক আহমদ, কক্সবাজার শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, সাবেক কক্সবাজার পৌরসভা মেয়র জননেতা সরোয়ার কামাল, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুহসীন, ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি আবদুর রহিম নূরী।
রামু উপজেলা:
কেন্দ্র ঘোষিত পাঁচ দফা দাবিতে রামু উপজেলা শাখা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে মিলিত হয়। উপজেলা আমীর ফজলুল্লাহ মুহাম্মদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের শূরা সদস্য ও কক্সবাজার ৩ সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী শহিদুল আলম বাহাদুর। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত সাড়ে পনেরো বছর যারা গুম, খুন ও জুলুম -নির্যাতন চালিয়েছে তাদের কে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা দেশে হানাহানি ও অশান্তি চাই না। আমরা গণ মানুষের কল্যাণে কাজ চালিয়ে যেতে চাই। এর জন্য প্রয়োজন নির্বাচনে সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।
উপজেলা সেক্রেটারী আবু নাঈম মুহাম্মদ হারুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মিছিলোত্তর সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রফিক, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী উপাধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল হাকিম, অফিস সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল মামুন সেলিম, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মুহাম্মদ তৈয়ব উল্লাহ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মোক্তার আহমদ মাওলানা বশির উদ্দিন, যুব বিভাগ সভাপতি মাহবুবুর রহমান ও সৈয়দ সোহরাব হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

পাঠকের মতামত