প্রকাশিত: ১৩/০৩/২০২১ ১২:১২ পিএম

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির প্রথম স্যাটেলাইট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে রেখেছে জাপান। দুই জাপানি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাপানের মহাকাশ ও সংস্থা একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্যাটেলাইটটি নিয়ে করণীয় ঠিক করার আগ পর্যন্ত তা আটক থাকবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

১৫ মিলিয়ন ডলারের এই স্যাটেলাইটটি যৌথভাবে তৈরি করেছিল জাপানের হকাইডো ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের অর্থায়নে মিয়ানমার অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি। এটি ছিল মিয়ানমারের প্রথম স্যাটেলাইট যাতে রয়েছে দুটি ৫০ কেজি মাইক্রো স্যাটেলাইট ক্যামেরা সজ্জিত। কৃষি ও মৎস্য চাষে নজর রাখার জন্য তা পাঠানো হয়।

মানবাধিকারকর্মী ও জাপানের কয়েকজন কর্মকর্তা উদ্বিগ্ন, এসব ক্যামেরা জান্তা সরকার সামরিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগাতে পারে। এই উদ্বেগ থেকে তা মহাকাশ স্টেশনে আটকে রাখা হয়েছে। স্যাটেলাইট নিয়ে করণীয় ঠিক করতে হকাইডো ইউনিভার্সিটি আলোচনা করছে জাপানের অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির সঙ্গে।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক প্রকল্পটির এক জাপানি ম্যানেজার বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কোনও কিছুতে আমরা জড়াতে চাই না। এমন উদ্দেশ্য নিয়ে এই স্যাটেলাইট তৈরি করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, কী করা হবে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। কিন্তু আমরা জানি না কখন তা মোতায়েন করা হবে। যদি তা আটকে রাখা হয় তাহলে আমাদের প্রত্যাশা কোনও এক সময় তা পুনরায় শুরু হবে।

তবে কবে স্যাটেলাইটটি মোতায়েন করার কথা ছিল তা জানাননি ওই কর্মকর্তা।

হকাইদো ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় কর্মকর্তা স্যাটেলাইটটি যে সামরিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না তা নির্দিষ্ট করে বলেননি। তবে তিনি জানান, স্যাটেলাইটটির সংগৃহীত তথ্য জাপানের ইউনিভার্সিটি সংগ্রহ করবে এবং মিয়ানমার কর্মকর্তাদের স্বতন্ত্রভাবে পাওয়ার সুযোগ নেই।

অধ্যাপক কাই তুইন জানান, অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের ইউনিভার্সিটির সঙ্গে তারা কোনও যোগাযোগ করতে পারছেন না।

এই বিষয়ে জাপানের মহাকাশ সংস্থা, মিয়ানমারের ইউনিভার্সিটি ও জান্তা সরকারের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নাসা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করে। পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তা রেখেছে জাপানের মহাকাশ সংস্থা।

মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় দাতা দেশগুলোর একটি জাপান। দেশ দুটির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতার নিন্দা জানালেও যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর মতো কঠোর অবস্থান নেয়নি টোকিও।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সামরিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা না হলেও মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের পক্ষে সেনাবাহিনীর কাজের লাগানোর জন্য প্রযুক্তি পাওয়া বা যুক্ত করা সহজ।

পাঠকের মতামত

থালাপতি বিজয়ের জনসভায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য চেন্নাইয়ের রাজধানী তামিলনাড়ুতে দেশটির রাজনীতিক ও অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ...

আরসা হামলায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত আরাকান আর্মিপ্রধানের

বাংলাদেশ সীমান্তে আরাকান আর্মির ঘাঁটিতে ‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহী’রা হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন সশস্ত্র সংগঠনটির কমান্ডার ...

আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধান প্রয়োজন: ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত উত্তরণের পথ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ...