প্রকাশিত: ০৬/০৮/২০১৯ ১১:৩৫ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
মিয়ানমারের অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেদেশের সেনা সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একদল মানবাধিকার কর্মী৷ এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক বিদেশি কোম্পানির ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছে৷
জাতিসংঘের একদল মানবাধিকার কর্মী বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে সোমবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন৷ মিয়ানমারের সেনারা জড়িত এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করতে সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা৷ তাদের বক্তব্য, যেহেতু বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশটি তাদের রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তাই তাদের সঙ্গে ব্যবসা করাএসব কাজে তাদের সহযোগিতা করারই শামিল৷

মিয়ানমারের অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেদেশের সেনা সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একদল মানবাধিকার কর্মী৷ এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক বিদেশি কোম্পানির ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছে৷
জাতিসংঘের একদল মানবাধিকার কর্মী বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে সোমবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন৷ মিয়ানমারের সেনারা জড়িত এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করতে সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা৷ তাদের বক্তব্য, যেহেতু বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশটি তাদের রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তাই তাদের সঙ্গে ব্যবসা করাএসব কাজে তাদের সহযোগিতা করারই শামিল৷

সর্বশেষ ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনা অভিযানে রাখাইন থেকে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যান৷ এ সময় তাদের অনেককে হত্যা করা হয় এবং অনেক নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে৷

‘‘প্রথমবারের মতো প্রতিবেদনে বেরিয়ে এলো যে, এসব কোম্পানির সঙ্গে নির্দিষ্ট ইউরোপীয় ও এশিয়ান কিছু কোম্পানির লেনদেন রয়েছে, যা জাতিসংঘের চুক্তি ও আদর্শ ভঙ্গের শামিল,” জাকার্তায় রোববার তদন্ত কমিটির চেযারম্যান মারজুকি দারুসমান এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন৷

তদন্তে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, হংকং ও চীনের কমপক্ষে লেনদেন আছে এমন অন্তত ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ মিলেছে, যেগুলোর সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কোনো-না-কোনো যোগসাজশ রয়েছে৷

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র না বিক্রির আহ্বানও জানানো হয় তদন্ত প্রতিবেদনে৷ বলা হয়, ইসরায়েল, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের ১৪টি কোম্পানি ২০১৬ সাল থেকে বার্মিজ সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে৷

দারুসমান আরো বলেন, ‘‘কর্পোরেশনের ভেতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও তাদের কাজের জন্য দায়বদ্ধ৷” তাই তিনি মনে করেন, সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি করে তারাও পরোক্ষভাবে ‘‘মিয়ানমারের জনগণের ওপর নির্যাতনের জন্য দায়ী৷”

তদন্ত প্রতিবেদনটি মিয়ানমার সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে প্রতিবেদনের বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কথা বলার জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি৷ তবে মিয়ানমার সরকার বরাবরই রাখাইন প্রসঙ্গে জাতিসংঘের অবস্থানকে ‘একপাক্ষিক’ বলে দাবি করে এসেছে৷

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া ও ক্যানাডা মিয়ানমারের উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তাদের তাদের দেশে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ সবশেষ গেল জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বার্মিজ সেনাপ্রধান মিন অং হ্লায়েং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ জাতিসংঘ মিয়ানমারের উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিসি)-তে বিচারের আহ্বান জানিয়েছে৷ আইসিসি এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করছে।
এসিবি (রয়টার্স, এপি)

পাঠকের মতামত

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ‘সুখবর’ দিল মালয়েশিয়া সরকার

মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন ...

ভারতে আশ্রিত আওয়ামী নেতাদের নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন মমতা, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ার হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ...

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতন করছে আরাকান আর্মি: এইচআরডব্লিউ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দমনমূলক নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে জাতিগত ...

রয়টার্সের প্রতিবেদনমিয়ানমারের বিরল খনিজে নজর যুক্তরাষ্ট্রের, বিদ্রোহীদের পক্ষে টানছে ট্রাম্প প্রশাসন

মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে ...

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...