প্রকাশিত: ০৫/০১/২০২০ ৭:৫৫ পিএম

চারদিকে ধুমধাম পরিবেশ। বাড়ি জুড়ে বইছে সুস্বাদু রান্নার গন্ধ। কারণ দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছে। এরইমধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কনেকে জীবন সঙ্গী করতে যাত্রীসহ মঞ্চে আসন নিয়েছেন বর। আর এমন বেআইনি কাজের মদদ দিতে হাজির হন কাজি। কিন্তু জরুরি সেবা ৯৯৯-এর ফোন পেয়ে সেই বেআইনি কাজ বন্ধ করেন ইউএনও এসএম মুনিম লিংকন। সঙ্গে সঙ্গে কাজি ও বরকে জেলে পাঠানোর রায় দেন এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
শনিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গা গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। দণ্ডিতরা হলেন- উপজেলার ভগিরথপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলামের ছেলে বর সাইফুল ও হাতিভাঙ্গা হাফিজিয়া কওমি মাদরাসার সুপার, একই গ্রামের বরকত আলীর ছেলে কাজি মেহেদি হাসান।

ইউএনও এসএম মুনিম লিংকন জানান, ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে শামিমা খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের সাইফুলের বিয়ের আয়োজন করা হয়। এমন বেআইনি কাজের খবর জরুরি সেবা ৯৯৯ এর ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন তিনি। তাৎক্ষণিক ওই বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত হাজির করা হয়।

ঘটনাটি হাতেনাতে ধরে ফেলায় কাজি, বর ও কনের বাবাকে আটক করা হয়। এরপর আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিয়ে পড়ানোর দায়ে কাজিকে ছয় মাস ও বরকে তিন মাস জেলে থাকার শাস্তি দেন বিচারক। একই সঙ্গে বাল্যবিয়ে দেয়ার দায়ে মেয়ের বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রোববার সকালে কাজি ও বরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত

জুলাই যোদ্ধার স্বীকৃতি পাচ্ছে কক্সবাজারে নিহত হওয়া রোহিঙ্গা কিশোর

আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে কক্সবাজারে নিহত রোহিঙ্গা কিশোর নূর মোস্তফাকে ‘জুলাই শহীদ’ হিসেবে স্বীকৃতি ...

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বাদী এখন কক্সবাজার দুদকের উপ-পরিচালক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ...

দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্ট রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সরকারি লাইসেন্স নেই, তদন্ত টিমের পরিদর্শন

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়ায় ১৫টি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চলছে অনুমতি বিহীন। সরকারিভাবে কোন ...