
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মধ্যে কাদের কত আসন দেয়া হবে, তা ঘোষণা না করলেও ৬৩ আসন ফাঁকা রেখেছে দলটি। গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, এটি কেবল সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা। পরবর্তী ধাপে আরো নাম যুক্ত বা পরিবর্তিত হতে পারে।
বিএনপির ঘোষিত প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় নাম আসেনি দলের একাধিক শীর্ষ ও আলোচিত নেতার। তালিকায় নেই স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। তবে জমিরউদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার মুহম্মদ নওশাদ জমিরকে প্রার্থী করা হয়েছে পঞ্চগড়-১ আসনে।
মনোনয়ন তালিকায় নাম নেই দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীরও। এছাড়া যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ ও হুমায়ুন কবীর মনোনয়ন পাননি। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন ও শামসুজ্জামান দুদুর নামও নেই এ তালিকায়।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও আমিনুর রশীদ ইয়াসিনের নামও তালিকায় নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম ও রবিউল ইসলাম রবিও বাদ পড়েছেন প্রাথমিক তালিকা থেকে। প্রাথমিক তালিকায় নাম নেই সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানার।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন মাগুরা থেকে মনোনয়ন চেয়েও তালিকায় জায়গা পাননি। একইভাবে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী মনোনয়ন পাননি। কিছু আসনে প্রার্থী না ঘোষণা করার বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, যেসব আসনে তারা আগ্রহী, সেসব আসনে আমরা কোনো প্রার্থী দিইনি।’
আমরা আশা করছি তারা তাদের নাম ঘোষণা করবেন, তখন আমরা চূড়ান্ত করব। বিশেষ করে আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে যে শরিক দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা কোনো কোনো আসনে পরিবর্তন আনতে
 
 
 
 
 
 
 
 
পাঠকের মতামত