প্রকাশিত: ১০/০৩/২০১৭ ১:১৫ পিএম
ফেইসবুক বা টুইটারে পরিচয় হওয়ার পর শুরু হয় প্রেম। এটাই হলো আসল ফাঁদ। এরপরেই অসতর্ক মুহূর্তে ওয়েবক্যামে যৌনতা। আর তা দিয়েই শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। এ ধরনের প্রতারণাকে রীতিমতো পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে মরোক্কোর নারীরা। ওয়েড জেম শহরে এই ব্যবসা এখন বেশ রমরমা।

জানা গেছে,  শাহরটির ৩ হাজার নারী এ ফাঁদের সঙ্গে জড়িত। প্রেম করেন ভিডিওতে খোলামেলা যৌনতায় মেতে ওঠেন। এরপর ঐ ব্যক্তির স্বজন, বন্ধুদের নিকটান পাঠানোর কথা বলে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন।

দেশটির জাতীয় ক্রাইম এজেন্সির প্রতিবেদন বলা হয়, ওই শহরের নারীদের প্রধান টার্গেট থাকে ব্রিটিশ পুরুষ। কারণ, ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো।  ওজন্য ব্রিটিশরাই থাকেন প্রথম লক্ষ্য।

২০১৫ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৩৮৫ জন ব্রিটিশ এ ফাঁদে আটকা পড়ে সবকিছু হারান। আর ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৪৫ জনে। তাছাড়া এর পরিমাণ আরো ভয়ংকর আকার নিচ্ছে। তবে পরিসংখ্যানে এর পরিমাণ কম দেখানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ প্রতারিতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে।

ওইসব নারী ফেইসবুক, লিংকডইন ও টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরুষদের টার্গেট করেন। তারপর ধীরে ধীরে তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে অনলাইনে যৌনতা করেন।

তারপর ওয়েবক্যামের মাধ্যমে সেসব দৃশ্য ভিডিও করে রাখেন। পরে সেই ভিডিও ক্লিপ ভুক্তভোগী ব্যক্তির পরিবার বা বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করেন। একেকজনের কাছ থেকে কমপক্ষে ৮০০ ব্রিটিশ পাউন্ড করে আদায় করেন তারা। বাংলাদেশি টাকায়  প্রায় ৮০ হাজার টাকা। –f

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম : ইইউ

সামরিক শাসিত মিয়ানমারে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা নেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের। কারণ এই নির্বাচন ...

‘হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে সহিংসভাবে করব’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজন হলে ...