প্রকাশিত: ২৬/১২/২০১৯ ৭:২৩ পিএম

কোরআন, বাইবেলসহ সব ধর্মীয় গ্রন্থ নতুন করে লেখার পরিকল্পনা করছে চীন। দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের আদলে ধর্মগ্রন্থগুলো পুনর্লিখনের বিষয়ে গত নভেম্বরে দলটির জাতিতত্ত্ব বিষয়ক কমিটির এক সভায় এ পরিকল্পনা করা হয়।

আজ বুধবার তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, কোরআন ও বাইবেলের উল্লেখ সরাসরি না করলেও চীনের ওই কমিটি সব ধর্মগ্রন্থের পুনর্লিখনের জন্য বিস্তৃত পর্যালোচনার পরিকল্পনা করছে।

বর্তমানের সঙ্গে ধর্মগ্রন্থের যেসব উপাদান সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, সেসবে পরিবর্তন আনা হবে। এতে সমাজতন্ত্রের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিক তথ্য থাকবে না। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের শাসনামলের সঙ্গে এসব ধর্মগ্রন্থকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা দরকার বলে জানিয়েছে ওই কমিটি। পুনর্লিখিত সংস্করণে সমাজতন্ত্রের ভাবাদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো ধরনের উপাদান থাকলে সেসব সেন্সর বোর্ড সংশোধন করবে।

চীনের সরকারি সংবাদসংস্থা সিনহুয়া’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত নভেম্বরের ওই বৈঠকে বিশেষজ্ঞ এবং কমিটির প্রতিনিধিদের বলা হয়েছে, সমাজতন্ত্রের মৌলিক মূল্যবোধের সঙ্গে মিল রেখে তাদের বিশ্বাসকে ব্যাখ্যা করার জন্য ধর্মগ্রন্থের পুনর্লিখিত সংস্করণে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আদেশ অনুসরণ করতে হবে।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি, ধর্মবিশ্বাসী ও বিশেষজ্ঞদের ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। চীন সরকারের পলিটিক্যাল কনস্যুলেটিভ কনফারেন্সের চেয়ারম্যান ওয়াং ইয়াংয়ের তত্ত্বাবধানে ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এ মাসের গোড়ার দিকে ম্যাকাওতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

চীনের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের বন্দি শিবিরে আটকে রেখে যখন মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নিপীড়নের অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও দেশ সমালোচনা করছে, তখন ধর্মীয় সব গ্রন্থ পুনর্লিখনের এই পরিকল্পনার তথ্য এলো।

জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যমতে, জিনজিয়াং প্রদেশে চীন ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমকে আটকে রেখেছে। তবে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার বলছে, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় উইঘুর মুসলিমদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধান প্রয়োজন: ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত উত্তরণের পথ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ...

জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বাংলাদেশ। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ...

জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। ...