প্রকাশিত: ৩০/০৩/২০১৭ ১১:১২ পিএম , আপডেট: ৩০/০৩/২০১৭ ১১:১২ পিএম

জাহাঙ্গীর আলম, উপকূলীয় প্রতিনিধি ::

বিশ্বের সর্ববৃহত্তম সৈকত নগরী কক্সবাজারের ইনানীর প্রস্তাবিত জাতীয় উদ্যান ভেস্তে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় উদ্যান প্রকল্পেরআওতাধীন এলাকায় পাহাড় কেটে ব্যক্তি মালিকানাধীন পাকা দালান গড়ে তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠছে অবৈধ পাকা দোকানপাট। ফলে সরকারের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ইনানীর পর্যটন পরিবেশ ভেঙ্গে পড়তে পারে এমনটি আশা করছেন এলাকার পরিবেশবাদী সচেতন মহল।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন ইনানী, চোয়াংখালী, মো: শফিরবিল, বাইলাখালী, মনখালী, শাপলাপুর ও শীলখালী ঘুরে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে রয়েছে দুটি অবৈধ করাতকল। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মাহাবুবুল আলম জানান, ইনানী জাতীয় উদ্যানে বেড়ে উঠা গাছ-গাছালী এসব অবৈধ করাত কলে চিরাই করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ইনানী বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম হোসেন তাচ্ছিল্ল করে বলেন, করাত কলে ধান চোরাই করা হয় না ওখানে গাছ চিরাই করা হয়। তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের এসব করাতকল উচ্ছেদ করার পরামর্শ দেন।

স’মিল মালিক শাপলাপুরের আব্দুল হামিদ ও মোহাম্মদ জসিম জানান, তারা বনকর্মীদের ম্যানেজ করে এসব করাতকলে গাছ চিরাই করছে। কেউ বাধাঁ দিলে তার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা ব্যবস্থা নেবে। এদিকে মাদারবনিয়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এলজিইডি সড়ক সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি নতুন দালান ঘর তোলা হচ্ছে ভিন্ন কায়দায়। প্রশাসনের যাতে সরাসরি নজরে না পড়ে সেজন্য নির্মাণাধীন দালান পলিথিন দিয়ে ডেকে রাখা হয়েছে। জানতে চাওয়া হলে নির্মাণাধীন ওই দালানের মালিক মৌলভী শফি জানান, সে ইনানী বনরেঞ্জ কর্মকর্তা ও ইনানী বনবিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে নিজস্ব অর্থায়নে দালান তৈরি করছে। এভাবে ইনানী থেকে মনখালী পর্যন্ত প্রায় ২০টিরও অধিক দালান তৈরি করতে দেখা গেছে।

বর্তমান সরকার ইনানীর জীববৈচিত্র ও সবুজ সম্পদের উন্নয়নের লক্ষ্যে ইনানীর ১০ হাজার হেক্টর বনভূমিকে জাতীয় উদ্যানে রূপান্তর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে জাতীয় উদ্যান ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে বলে শেডের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা আবু সারওয়ার জানিয়েছেন। ইনানী বন রক্ষা সহায়ক কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, জাতীয় উদ্যানের আশে পাশে অবৈধ ভাবে পাকা স্থাপনা গড়ে তোলা হলে তার দায় দায়িত্ব বনবিভাগকে নিতে হবে।

উখিয়া টেকনাফের সহকারি বন সংরক্ষক সরওয়ার-ই-আলম জানান, উখিয়া ও ইনানী রেঞ্জের আওতাধীন সরকারি বনভূমিতে গড়ে উঠা প্রায় ৬ হাজারেরও অধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে মামলা রুজু করা হয়েছে। কক্সবাজার বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো: আলি কবির জানান, যেসমস্ত নতুন স্থাপনা গড়ে উঠছে ওইসব স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বনকর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত

জামিনে মুক্তি পেলেন উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন, গ্রামে আনন্দের বন্যা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার ...

কক্সবাজার জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প থেকে ৪৪০৯ জনের নাম বাতিল

কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্পে (খুরুশকুল) পুনর্বাসনের চার হাজার ৪০৯ জনের তালিকা বাতিল করা হয়েছে। ...

জনগণ সচেতন হলে মব-চাঁদাবাজি বন্ধ হবে: কক্সবাজারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘জনগণ সচেতন হলে মব ভায়োলেন্স ...