প্রকাশিত: ৩১/০৭/২০১৭ ৭:৫৩ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৫৬ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় মাতারবাড়িতে প্রস্তাবিত কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয়ভাগের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে জাপান। আগামী আগস্টে এই কাজ শুরু হবে।

আশা করা হচ্ছে, আগামী ২০২৪ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

জাপানের ৫টি কোম্পানি এ প্রকল্পে নানা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করবে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সুমিতোমো করপোরেশন, আইএইচআই, তোশিবা এবং পেন্ট-ওসেন কনস্ট্রাকশন।

নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ অন্যতম সহযোগী সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি- জাইকা এই প্রকল্পের জন্য ৪৫১ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিচ্ছে।

৫ কোম্পানির মধ্যে আইএইচআই বয়লার সরবরাহ করবে; তোশিবা ও তোশিবা প্লান্ট সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিস টারবাইন, পাওয়ার জেনারেটর ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে। এছাড়া পেন্টা-ওসেন কনস্ট্রাকশন পোর্ট নির্মাণ করবে।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১২০০ মেগাওয়াট। এটি হবে বাংলাদেশের অন্যতম বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র; যা দেশের মোট চাহিদার ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ সররবাহ করবে।

এ প্রকল্পে ব্যবহার করা হবে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। যা থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের চেয়ে ২০ শতাংশ কম কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করবে।

জানা যায়,মহেশখালীর মাতারবাড়িতে নির্মিতব্য ১২০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু করা গেলে ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না, পাশাপাশি জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের বিদ্যুৎ যোগানে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অপর দিকে মূল প্রকল্পের প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য গত ২৯ জুন জাইকার সাথে বাংলাদেশ সরকারের ১০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ইয়েন বা ৭৭৫ কোটি টাকা ঋণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

জাইকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাতারবাড়ি প্রকল্পের প্রাথমিক ক্রয়ের জন্য চলতি জুলাই মাসেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে। মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালে ৩৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার।

সে সময় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, এই প্রকল্পে ২৯ হাজার কোটি টাকা দেবে জাইকা। বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হবে বলে আশা করছে সরকার।

ভৌগলিক দৃষ্টিকোণ থেকে বঙ্গোপসাগর থেকে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে কুহেলিয়া নদীর তীরেই ৭ হাজার ৬শ ৫৬ একর জমিতে মাতারবাড়িতে জাপানের সহায়তায় আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির সমন্বয়ে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়েছে।

ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণ, নদীর চ্যানেল ড্রেজিং, প্রশাসনিক ভবন নির্মাণসহ প্রথম ধাপের কাজ প্রায় শেষ। এখন মূল প্রকল্পের জাপানের সুমিটোমো ও মারুবিনি করপোরেশনের দেয়া ২টি দরপত্রের আর্থিক মূল্যায়নের কাজ চলছে।

২০১৪ সালে পাস হওয়া এ প্রকল্প ৩৬ হাজার কোটি টাকার মধ্যে জাইকা দেবে ২৯ হাজার কোটি টাকা আর বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করবে ৫ হাজার কোটি টাকা। সরকারের বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম এই মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এখানে কাজ চলছে পুরোদমে। এর থেকে যে বিদ্যুৎ আসবে তা শুধু জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে না চট্টগ্রামের আশেপাশে যে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে তাতেও ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।

পাঠকের মতামত

সড়ক দুর্ঘটনায় ফের নিহত ১, প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। ...

সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি নিজেকেও পরিবর্তন করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিরও ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রাণ গেল বউ-শাশুড়িসহ একই পরিবারের ৩ জনের

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের বউ-শাশুড়িসহ তিনজন নিহত ...