প্রকাশিত: ৩০/১০/২০১৬ ৯:১৭ পিএম

গত শনিবার ২৯ অক্টোবর দৈনিক ইনানী পত্রিকায় প্রকাশিত উখিয়ায় বৌদ্ধ বিহারে জমির বিরোধ, আহত-৪ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হওয়ায় ইহার জোরপ্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

সংবাদ পত্রে বর্ণিত অনুসারে রাজাপালং জাদি মোড়া বৌদ্ধ বিহারের দানকৃত জমির বিরোধ ধরে যে হামলার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নহে। আমরা বৌদ্ধ বিহারের কোন ধরনের জমি জবর দখল কিংবা অন্য কাউকে হামলার সাথে জড়িত নয়। মূলত বিহারের সেক্রেটারী অরুন বড়–য়ার নেতৃত্বে একদল লাঠিয়াল বাহিনীর রুমখাঁ মৌজায় আমাদের ভোগদখলীয় ক্রয়কৃত জমি জবরদখল করার  অপচেষ্টা ব্যর্থ হলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, ১৯৭৩ সাল, ৭৪ সাল, ৭৫ সাল ও ৭৬ সালে রসিক চন্দ্র বড়–য়ার ছেলে হেমন্দ্র লাল বড়–য়া, গনেশ চন্দ্র বড়–য়ার ছেলে যতিন্দ্র লাল বড়–য়া ও রুপচন্দ্র বড়–য়ার স্ত্রী রেনু বালা বড়–য়া হতে পৃথক ৪টি দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে ৩ একর জমি আমি  (মোহাম্মদ হাছন) সহ মা ও অপরাপর ভাই বোনের নামে ক্রয় করি। উক্ত ক্রয়কৃত জমি চাষাবাদ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসতেছি। আমাদের নামে উখিয়া ভূমি অফিসে ৮১৪ ও ১১৫০ নং বি.এস খতিয়ান সৃজিত হয়। ইত্যবসরে ১৯৮৬ সালে শ্রীমৎ সুমঙ্গল স্থবির বাদী হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করে। যার নং- অপর ০৬/৮৬। উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানীর শেষে বিগত ৩১ মে ১৯৮৮ সালে বিজ্ঞ সহকারী জজ মো: ইয়াছিন এক আদেশে বিরোধীয় জায়গা বিভাজন বা বিভাগ করে বিষয়টি নিস্পত্তি করার জন্য রায় প্রদান করেন। এবং উক্ত রায়ে বিবাদীর দলিলাদি সম্পূনাংশে ফেরবী বেআইনী, অকার্যকর ও অবলবৎযোগ্য নহে বলে সিদ্ধান্ত হইল।

আদালতের আদেশ অমান্য করে গত শুক্রবার অরুন বড়–য়ার নেতৃত্বে বিবাদীগণ আমাদের জমিতে চাষাবাদকৃত ধান কেটে নেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে মহড়া দেয়। আমরা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উল্টো আমাদের উপর আক্রমণের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে হয়রানীর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা উক্ত সংবাদের জোর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশা-পাশি মিথ্যা সংবাদ পড়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমাদের অনুরোধ রহিল।

প্রতিবাদকারী-

মোহাম্মদ হাছন গং

পিতা- মৃত মোহাম্মদ সোলতান

গ্রাম- রুমখাঁপালং নতুন পাড়া,

হলদিয়াপালং, উখিয়া, কক্সবাজার।

পাঠকের মতামত

দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্ট রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সরকারি লাইসেন্স নেই, তদন্ত টিমের পরিদর্শন

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়ায় ১৫টি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চলছে অনুমতি বিহীন। সরকারিভাবে কোন ...

উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ, ইউনিফর্ম, অস্ত্র-গুলি ও হাতকড়াসহ আটক ১

কক্সবাজারের উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা এবং প্রতারণার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ ...