উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২/০৬/২০২৩ ৩:১৯ পিএম , আপডেট: ১২/০৬/২০২৩ ৩:১৯ পিএম

কক্সবাজারে এক জনপ্রতিনিধির দেওয়া ভোট ডাকাতি বক্তব্যের তদন্তভার দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানকে।

‘উপজেলা নির্বাচনে আট কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করেছি’ উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরীর দেওয়া এমন বক্তব্যের উপর তদন্ত চলছে। রোববার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ইমরুল কায়েস চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাঁর এই বক্তব্যের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, এর আগে নির্বাচন কমিশন থেকে বিষয়টি তদন্তের জন্য বলা হয়। তদন্ত করে মতামতসহ প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।

উল্লেখ্য, ৬ জুন কক্সবাজার পৌরসভার তারাবুনিয়াছড়া এলাকায় পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে ইমরুল কায়েস কক্সবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কায়সারুল হককে উদ্দেশ করে বিতর্কিত বক্তব্য দেন। ইমরুল পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে দাবি করেন, তিনি নিজে আটটি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করে কক্সবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কায়সারুল হক ওরফে জুয়েলকে নির্বাচনে বিজয়ী করেছিলেন।

ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আমি ইমরুল কায়েস যদি না থাকতাম, তুমি উপজেলা চেয়ারম্যান হতে পারতে না। জুয়েল, তোমার যদি মনে না থাকে, আমার শ্রদ্ধাভাজন মাসেদুল হক রাশেদ, যিনি এখন নারকেলগাছ মার্কায় ভোট করছেন, ওনার কাছে জিজ্ঞাসা করে দেখো। তোমার যদি মনে না থাকে, তোমার মেজ ভাই জেলা পরিষদের মার্শাল মামা আছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসা করে দেখ, ইভিএমের মধ্যে তোমার জন্য ভোট ডাকাতি করে, কারচুপি করে তোমাকে এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানিয়েছি।

আর তুমি কথায় কথায় আমাকে টার্গেট করো, আমাদের টার্গেট করো। কারণ, তুমি একজন অকৃতজ্ঞ। তুমি যদি কৃতজ্ঞ হতে, সেদিনের কথা তুমি ভুলে যেতে না।

এই বক্তব্য নির্বাচন কমিশনের নজরে আসার পর তারা তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগকে নির্দেশ দেয়। এরপর গতকাল কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এবিষয়ে জানতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সুত্র : ঢাকামেইল

পাঠকের মতামত

চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রামু যুবদল নেতার এলোপাতাড়ি গুলি

রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়িতে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনীর কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত ...

অস্ত্র কেনাবেচায় বিকাশ লেনদেন, কক্সবাজারে র‌্যাবের জালে তিন কারবারি

পর্যটনকেন্দ্রিক শহর কক্সবাজারের আড়ালে গড়ে উঠছে অস্ত্র কারবারিদের গোপন নেটওয়ার্ক। মাদক, মানবপাচার ও ছিনতাইয়ের পাশাপাশি ...