
নিউজ ডেস্ক::
প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে সুরাহা করতে হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উইন ও বলেছেন, সুপ্রতিবেশীসুলভ চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া উদ্বাস্তুদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও মর্যাদার সাথে নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
মিয়ানমারের স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আয়োজিত এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় হুমকি। কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে আমরা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখতে পারি না।
তিনি বলেন, মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে লড়াই করার জন্য রাখাইন রাজ্যের অনেক গ্রাম থেকে সদস্য সংগ্রহ করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। চরমপন্থীরা অনেক গ্রামবাসীকে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল, যাতে তারা আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
বাংলাদেশও সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার শিকার হয়েছে উল্লেখ করে উইন ও বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশসমূহ তথা বিশ্বের সব রাষ্ট্রের সাথে মিয়ানমার সুসম্পর্ক রাখার নীতি অনুসরণ করছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশ যৌথভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেতুবন্ধন হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলে আমি আশা করি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী।
পাঠকের মতামত