প্রকাশিত: ১২/০৬/২০২২ ৫:১৭ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক::
বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে ১১০,০০০-এরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশু ও কিশোর কোভিড-১৯ এর প্রথম টিকা পেয়েছে।

বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাউ উখিয়া নিউজ ডটকমকে বলেন, “শরণার্থী শিশু-কিশোরদের টিকা দেয়ার ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। শরণার্থীদের টিকাদান কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নীতি, এবং স্বাস্থ্য বিভাগ, বিভিন্ন মানবিক সংস্থা ও রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশংসনীয় প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই সময়োচিত মাইলফলকে আমরা পৌঁছেছি”।

বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর অর্ধেকেরও বেশি হচ্ছে শিশু। জাতীয় টিকাদান কর্মসূচীতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমেই সবাইকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শরণার্থীদের প্রায় শতভাগকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃপক্ষসমূহের নেতৃত্ব এবং ইউএনএইচসিআর, জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা, মানবিক অংশীদার ও শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তার মাধ্যমে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরণার্থী কিশোর আবুল জামিল (১৫) বলে, “টিকা দেয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞ। সামান্য একটু চিমটির মত লেগেছিল, কিন্তু আমরা জানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমরা আরও নিরাপদ বোধ করছি”।

মোট প্রায় ৫০০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী এখন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে; যা ১২-১৭ বছর ও ১৮-এর বেশি বয়সী শরণার্থীদের ৯০ শতাংশ। টিকা গুরুতর কোভিড সংক্রমণ কমানোর চাবিকাঠি। ১২ বছর ও তদুর্ধ্ব রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের দ্বিতীয় টিকার সময় বাংলাদেশ সরকার নির্ধারণ করবে আসন্ন ঈদের ছুটির পর।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে আজরাইল গ্রেফতার

কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। দীর্ঘ দুই দশক ...

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...