সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
“বিগত প্রতিশ্রুতির রাজনীতি নয়, বাস্তবায়নই হোক উখিয়া-টেকনাফের আগামী”
প্রকাশিত - নভেম্বর ৩, ২০২৫ ৯:৪০ এএম

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত উপজেলা—উখিয়া ও টেকনাফ। এই জনপদ আজ মাদক, রোহিঙ্গা সঙ্কট, কর্মসংস্থানের অভাব, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, এবং মাঠ প্রশাসনের উদাসীনতার কবলে। তাই বহুল আকাঙ্ক্ষিত আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা তরুণ ভোটারসহ সাধারণ জনতা স্বশিক্ষিত, উন্নয়নমুখী, সৎ ও কর্মঠ এমন একজন প্রার্থী/নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছি যিনি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।এই মাদক পরিবার, সমাজ এবং তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করছে। উখিয়া-টেকনাফে বর্তমানে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। এতে স্থানীয়দের জীবিকা, নিরাপত্তা ও পরিবেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জোর প্রচেষ্টা চলমান রাখবেন। সাম্প্রতিক মায়ানমারের আরাকান আর্মি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের দিকে চোখ রাঙ্গাচ্ছে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আটক/বন্দী হওয়া টেকনাফের ১১৭জন জেলেকে মুক্ত করে আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে তড়িৎ গতিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তাছাড়া আসন্ন প্রার্থীকে অবশ্যই শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। ক্যাম্পে চলমান এনজিও প্রজেক্টগুলোতে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করবেন। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, উখিয়ার ইনানী, টেকনাফের স্থল বন্দর, শাহপরীর দ্বীপের করিডোর ও নাফ নদীকে ব্যবহারের জন্য চালু করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। সেই সাথে টেকনাফ-সাবরাং এ পরিবেশবান্ধব পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করে স্থানীয়দের সেখানে পর্যটনখাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখার আপ্রাণ চেষ্টা3 করবেন। পাশাপাশি পাহাড় ও বনাঞ্চল সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয়ে সজাগ থাকবেন। পেশি শক্তি প্রদর্শন, চাঁদাবাজি, গুম-অপহরণ, প্রত্যক্ষ হুমকি প্রদান, ব্যালট পেপার চিন্তায়, কথায় কথায় রাজাকার ট্যাগ দেওয়া, মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে অতি-চেতনার রাজনীতি, ভারতের আধিপত্যবাদ/আগ্রাসনকে মেনে নিয়ে ক্ষমতার স্বাদ নেওয়ার চিন্তা চিরকালের জন্য ভুলে গিয়ে সর্বশ্রেণির কল্যাণে নিয়োজিত হবে এমন এক নেতৃত্বকেই আমরা আগামীর রাষ্ট্রক্ষমতার আসনে দেখতে চাই।
সর্বোপরি উখিয়া ও টেকনাফের তরুণ এবং সাধারণ জনগণ আর বিগত তিন যুগের মত কেবল প্রতিশ্রুতির রাজনীতি নয় বরংচ সঠিক বাস্তবায়ন দেখতে চায়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে প্রার্থী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ইলেকশনের মাধ্যমে একটি মাদকমুক্ত, অপহরণমুক্ত সমাজ, নিরাপদ সীমান্ত, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিবেন তিনিই জয়ী হবেন বলে আশা রাখছি। তারুণ্যের এই প্রত্যাশাগুলোর সঠিক প্রতিফলন ঘটলে উখিয়া-টেকনাফ হবে শান্তি, উন্নয়ন ও আশার জনপদ।
রহমত উল্লাহ
শিক্ষার্থী, (২১-২২)সেশন
পলিটিক্যাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট
কক্সবাজার সরকারি কলেজ।
Copyright © 2025 UkhiyaNews.Com. All rights reserved.