উখিয়া-টেকনাফের অবিসংবাদিত নেতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বিএনপি বিপ্লবী ও সাহসী বীরযোদ্ধা কক্সবাজার জেলা বিএনপির মান্যবর সভাপতি, চার চারবারের সাংসদ সাবেক হুইপ, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক সহচর আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর অসামান্য অবদানে উখিয়া-টেকনাফে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী একজন সুদক্ষ রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, শিক্ষাবিদ এবং ক্রীড়াবিদ। তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের পুরোটাই সময় কাটিয়েছেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের (প্রবর্তক) নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙালীদের মুমূর্ষু সময়ে সাহসীকতার সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বীরউত্তম) এর হাতগড়া সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল'র (বিএনপি) সাথে। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর রাজনৈতিক মেধা ও দূরদর্শিতা দেখে নিজে তাকে ডেকে নিয়ে দলে যুক্ত করেন। সেই থেকে আজ অব্দি তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শ নিজের ভিতর ধারণ ও লালন করে দলের কঠিন সময়ে নেতৃত্বের হাল ধরে দলকে সুসংগঠিত করেছেন। তিনি প্রায় ১ যুগ ধরে কক্সবাজার জেলা বিএনপির নেতৃত্বে রয়েছেন। যার নেতৃত্বে জেলা বিএনপি সুসংগঠিত ও দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়েছেন। তিনি বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দমন-পীড়ন রাজনৈতিক রণাঙ্গনে দুঃসাহসিক নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা মোতাবেক সকল প্রকার আন্দোলন সংগ্রাম বাস্তবায়ন করেছেন অত্যন্ত দক্ষতা ও নৈপুণ্যের সাথে। আওয়ামিলীগের সশস্ত্র বাহিনী এবং পেটোয়া বাহিনীর হুমকি-ধমকির মুখে ১ সেকেন্ডের জন্যও রাজনীতির মাঠ থেকে পিছপা হননি। বরং এসব হুমকির মুখে দ্বিগুণ শক্তি সঞ্চয় করে রাজপথে মাথা উঁচু করে নেতৃত্ব দেওয়া নেতার নাম আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী। যার নেতৃত্বে জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলেছেন। যার প্রতিফলনে কক্সবাজার জেলা ও উপজেলার সমগ্র রাজপথ দখলে নিয়েছিলেন ছাত্রজনতা। স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে সকল প্রকার আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন নির্ভীক সাহসী ও অন্যান্য এক দৃষ্টান্ত। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৭৭ সালে নিজের মেধা ও যোগ্যতায় মাত্র ২৭ (সাতাইশ) বছর বয়সে রাজাপালং ইউনিয়নের জনসাধারণের প্রত্যক্ষ ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত। ১৯৭৮ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মনোনয়নে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ
#শিক্ষাঃ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং তিনি এই অঞ্চলের শিক্ষাবিস্তারের এক কিংবদন্তি পুরুষ। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিক্ষার আলোয় আলোকিত রূপরেখায় সাজিয়ে তুলেছেন অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকা দেশের সর্বদক্ষিণের সমুদ্র ও পাহাড় বেষ্টিত উখিয়া-টেকনাফ। উন্নয়নের ছোঁয়ায় আলো দিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তৎকালীন সময়ে উখিয়া-টেকনাফের মতো জায়গায় যেখানে একটি কলেজ ছিল স্বপ্নের মতো সেখানে তিনি তার একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত করেন ১৯৯১ সালে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ এবং ১৯৯৪ সালে টেকনাফ সরকারি কলেজ। যা উখিয়া ও টেকনাফের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবনে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছে। যখন এই অঞ্চলে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ছিল সীমিত, তখন তিনি অনুভব করেন একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তা। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম, সঠিক পরিকল্পনা এবং দৃঢ় সংকল্পের ফলেই এই দুটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাস্তবে রূপ নেয়। এছাড়াও তার আন্তরিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয় উখিয়া-টেকনাফের প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই কলেজ ও বিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি কেবল শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করেননি, বরং এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ভিত্তিও মজবুত করেছেন। শিক্ষাই যে একটি জাতির মেরুদণ্ড, এই কথাটি তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন। তাঁর এই অসামান্য অবদান উখিয়া-টেকনাফের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোকিত জীবনের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে। আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর এই শিক্ষানুরাগ এবং তাঁর গৃহীত পদক্ষেপগুলো এই অঞ্চলের মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মতো নেতারাই একটি উন্নত ও শিক্ষিত সমাজ গঠনে অনুপ্রেরণা যোগান।
এরপরের ৩ যুগেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও নতুন প্রজন্মকে আর কোনো কলেজ উপহার দিতে পারেনি কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব। স্বৈরাচার আওয়ামিলীগ সরকার টানা তিন মেয়াদের ক্ষমতা দখল করে উখিয়া-টেকনাফে দৃশ্যমান শিক্ষার কোনো উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি। সুতরাং উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষার আলো প্রসারিত করতে কিংবদন্তি আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন উখিয়া-টেকনাফবাসী। উখিয়া-টেকনাফের উপকূলীয়বাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরেকটি কলেজ প্রতিষ্ঠার পথে হাঁটছেন তিনি। শিক্ষার উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে সুশিক্ষিত কিংবদন্তি এ বীরপুরুষই প্রয়োজন উখিয়া-টেকনাফের অভিভাবক হিসেবে।
#বিদ্যুৎ: উখিয়া-টেকনাফকে বৈদ্যুতিক আলোয় আলোকিত করেন ক্লিন ইমেজ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জনবান্ধব জননেতা আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী। উখিয়া-টেকনাফের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য উপর মহলের মন্ত্রণালয়ে অত্র অঞ্চলের জনসাধারণের বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে ভালোভাবে লবিং চালান। তাঁর কঠোর পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আন্তরিক সহযোগিতায় উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ১৯৯২ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুটি বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র স্থাপন করেন। যা ১৯৯৩ সালের ৫ ডিসেম্বর বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে উখিয়া-টেকনাফের মানুষের ঘরকে বৈদ্যুতিক আলোয় আলোকিত করে। হার না-মানা উদ্যোমী তরুণের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উখিয়া-টেকনাফবাসী আলোর মুখ দেখতে পান। এ বিদ্যুৎ সুবিধার কারণে শুধুমাত্র উখিয়া-টেকনাফের ব্যবসা-বাণিজ্যকে সম্প্রসারিত করেনি, করছে আলোকিত এক প্রজন্ম।
#টেকনাফ স্থলবন্দর: ১৯৯৫ সালে যখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায়, তখন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সেই সময়ে, কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য, জননেতা আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী দেশের শেষ সীমান্ত টেকনাফেই একটি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তখন থেকে তার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম শুরু করেন তিনি। তাঁর দূরদর্শী চিন্তা এবং নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই আজকের এই টেকনাফ স্থলবন্দর বাস্তবে রূপ নেয়। জননেতা আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী সেসময় বিভিন্ন সুপারিশ ও লবিংয়ের মাধ্যমে সরকারের উচ্চপর্যায়ে টেকনাফের ভৌগোলিক এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত বাণিজ্য এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাঁর এই অবিচল প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, ১৯৯৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য চালু হয় এবং সেই দিন থেকেই টেকনাফ স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে, এই বন্দরের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হয়। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। ২০১২ সালের ১ জুলাই বন্দরটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। জননেতা আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল এই টেকনাফ স্থলবন্দর, যা শুধু একটি বাণিজ্য কেন্দ্র নয়, এটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনীতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তাঁর অবদান এই অঞ্চলের মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কক্সবাজার-টেকনাফ #মেরিন ড্রাইভ: কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী শুধু একজন জননেতা নন, তিনি ছিলেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। তাঁর দূরদর্শিতা ও অবিচল প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র ঘেঁষে উপকূলীয়বাসী পেয়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এটি শুধু একটি সড়ক নয়, এটি পর্যটন শিল্পের এক বিশাল সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে, যা একসময় কেবলই স্বপ্ন ছিল। তিনি এমপি থাকাকালীন এই বিশাল প্রকল্পের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং এটি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে এই প্রকল্প সরকারের উচ্চপর্যায়ে গুরুত্ব পায় এবং ধীরে ধীরে তা বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করে। এ মেরিন ড্রাইভ সড়কের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের দুই-এক লক্ষ টাকার জমি পরিণত হয়েছে দুই-এক কোটি টাকার সম্পদে। কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত পুরো মেরিন ড্রাইভ সড়কটি রূপান্তর হয়েছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হিসেবে। যেটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শত শত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। মেরিন ড্রাইভের মতো একটি মেগা-প্রকল্পের প্রাথমিক উদ্যোগ নেওয়া এবং তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া একজন সংসদ সদস্যের জন্য নিঃসন্দেহে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল, যা তিনি সফলভাবে মোকাবিলা করেছেন। এছাড়াও, তিনি যাতায়াত খাতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। জালিয়া পালং-বাহারছড়া-টেকনাফের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র উপায় ছিল সমুদ্র। জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে যাতায়াত করতে হতো উপকূলীয়বাসীর। বাজার অথবা শহরে যাতায়াত করতে হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো সমুদ্র পাড়ে। তখনকার সময়ে অত্র অঞ্চলের পড়ালেখা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তো দূরের কথা চিকিৎসা সেবা পেতেও অনেক বেগ পেতে হতো যার কারণে শত শত প্রসূতি মায়ের যাতায়াত পথে গর্ভপাত হতো এবং অনেকের চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু বরণ করতো স্বজনদের চোখের সামনে। এ অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্যদ্রব্য ৫০/৬০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাজারে নিয়ে যেতে হতো। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়ালেখার জন্য ছেলেমেয়েদের ঘর-বাড়ি ও পরিবার-পরিজন ছেড়ে পাড়ি জমাতে হতো বিভিন্ন শহরের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে অথবা হোস্টেলে। শুধুমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থার অসুবিধার কারণে উপকূলীয় বাসীর দৈনন্দিন জীবনযাপন ছিল অভিশাপের মতো। তখনকার সময়ে একজন দূরদর্শী নেতা ও জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি হিসেবে আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী এ অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কষ্টগুলো হৃদয়ে গভীরভাবে অনুভব করেন। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। সেই স্বপ্ন থেকে তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালে "কোটবাজার-সোনার পাড়া-শামলাপুর-বাহারছড়া-টেকনাফ" পর্যন্ত এলজিইডি সড়কটি বাস্তবায়িত করেন। এই সড়কটি স্থানীয়দের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে, যা কৃষি ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে সহায়ক হয়েছে। যত্ন অবহেলিত অঞ্চলকে পরিণত করেছে উন্নয়নের আবরণে মুড়িত। আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর এই অবদানে উখিয়া-টেকনাফের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলেই আজ এই অঞ্চলের মানুষ উন্নত যোগাযোগ সুবিধা ভোগ করছে এবং পর্যটন শিল্প দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। তাঁর মতো জননেতারাই একটি অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে।
#টেলিভিশন_কেন্দ্র: তাঁর নেতৃত্ব ও প্রচেষ্টায় উখিয়া উপজেলায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)-এর একটি উপকেন্দ্র বা রিলে কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রটি এ অঞ্চলের তথ্য, শিক্ষা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা পালন করছে। এ টেলিভিশন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাকালে কাজের তদারকি এবং পরিদর্শনের সময় প্রাণনাশের মতো মর্মান্তিক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। এরপরেও তিনি সযত্নে তা বাস্তবায়ন করেছেন। যেটি এখন উখিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ।
#ক্রীড়া: আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী একজন সুদক্ষ ও দূরদর্শী ক্রীড়াবিদ। ক্রীড়ার প্রতি তার যে প্রেম ও নেশা তা জীবনের শেষ বয়সে এসে কাটতে পারেনি। তিনি এ বয়সে এসেও টানা দুই-তিন ঘণ্টা খেলাধুলা করেন। যা উনার ফিটনেসকে ধরে রেখেছে একজন টগবগে তরুণের মতো। ক্রীড়ার প্রতি এ নেশা থেকেই গ্রাম অঞ্চলে ক্রীড়া আসর মাতিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন তিনি। যেকোনো ক্রীড়ার আয়োজনে তার উপস্থিতি ও আন্তরিক সহযোগিতা রয়েছে চোখে পড়ার মতো। উখিয়া-টেকনাফের ক্রীড়ার উন্নয়নে গ্রামগঞ্জের খেলার মাঠ সংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাঁর।
#রোহিঙ্গা_প্রত্যাবাসনে ইতিবাচক প্রশংসায় ভাসছেন শাহাজাহান চৌধুরী: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে বিএনপি সরকারের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে, যখনই বড় আকারের রোহিঙ্গা সংকট দেখা দিয়েছে, তখনি তৎকালীন বিএনপি সরকার কূটনৈতিক ও মানবিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
বিএনপি সরকারের আমলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: ১৯৭৮ সাল: মিয়ানমারের সামরিক সরকারের দমন-পীড়নের ফলে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিলে, তৎকালীন সামরিক শাসক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সরকার উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাংসদ জননেতা আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর আন্তরিক ভূমিকা এবং চৌকস বুদ্ধিমত্তায় একটি সফল প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন করে। এর মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা তাদের নিজ দেশে ফিরে যায়।
১৯৯২-১৯৯৩ সালের প্রত্যাবাসন: এই সময়েও মিয়ানমার থেকে বড় আকারের রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঘটে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার এবং আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর প্রচেষ্টায় পুনরায় মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়, যার ফলে ২ লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত যায়।
উখিয়া-টেকনাফের নেতা আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর প্রচেষ্টায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াগুলোতে তাঁর মেধা ও কূটনৈতিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় আজও কক্সবাজার তথা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রশংসার বিষয়। ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা সংকট এবং ভবিষ্যৎ প্রত্যাবাসন: ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্মম দমন-পীড়নের মুখে প্রায় ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এই সংকট মোকাবিলায় পতিত আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ আট বছরেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করেন যে, ভবিষ্যতে যদি কার্যকর রাজনৈতিক সমাধান আসে, তবে তা বিএনপি সরকার ও আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর মতো অভিজ্ঞ নেতাদের মাধ্যমে বাকি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনও সম্ভব হবে।
উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ, জননেতা আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী এই অঞ্চলের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন। শিক্ষা, ক্রীড়া এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁর প্রচেষ্টায় উখিয়া-টেকনাফে গড়ে উঠেছে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার প্রসারে তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব আধুনিক ও শিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তুলতে সহায়ক হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনেও আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ক্রীড়ার উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন, যার ফলে স্থানীয় পর্যায়ে খেলাধুলার প্রসার ঘটেছে এবং যুব সমাজকে গঠনমূলক কার্যক্রমে যুক্ত রাখতে সাহায্য করেছে।
উখিয়া-টেকনাফের রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা চিরস্মরণীয়। তাঁর সময়ে নির্মিত এই রাস্তাঘাট এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করেছে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে।
আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী উখিয়া-টেকনাফের মানুষের হৃদয়ে এক উন্নয়নের রূপকার হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারমুক্ত তারুণ্যের বাংলাদেশে পরীক্ষিত পরিচ্ছন্ন, ক্লিন ইমেজ রাজনীতিবিদ উখিয়া-টেকনাফের মাটি ও মানুষের নেতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল'র (বিএনপি) মনোনয়ন ও সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায়। আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী সংসদ সদস্য মানেই উখিয়া-টেকনাফবাসী প্রথমবারের মতো পেতে যাচ্ছে তাদের স্বপ্নের #মন্ত্রী। দেশের শেষ সীমান্তের জনগণ এ সুযোগ কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চাই না। সুতরাং উখিয়া-টেকনাফের অভিভাবক হিসেবে আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীকে পেতে চাই সর্বসাধারণের জনগণ।
✍️
শামসুল আলম সোহাগ
সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,
উখিয়া উপজেলা বিএনপি।