স্বাধীনতার পর থেকে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনকে বলা হয় দেশের রাজনীতির ‘লক্ষ্মী আসন’। কারণ, এই আসন থেকে যে দল জয়ী হয়, প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই সেই দল সরকার গঠন করে। ভৌগোলিকভাবে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী হওয়ায় আসনটির কৌশলগত গুরুত্ব বিশেষভাবে বিবেচিত হয়। আর বর্তমানে ১৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় নেওয়ায় এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসনে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় সুশীল সমাজ জানায়, উখিয়া-টেকনাফ আসন নিয়ে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল—আওয়ামী লীগ ও বিএনপি— ইতিপূর্বে প্রতি নির্বাচনে ব্যাপক বিশ্লেষণ করে প্রার্থী ঠিক করে গেছে। এর মধ্যে বিএনপি শুরু থেকেই প্রার্থী নির্বাচনে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে আসছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করবে বলে সচেতন মহলের ধারণা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের কান্ডারি হয়ে আছেন শাহজাহান চৌধুরী। তিনি উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নে ১৯৫২ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজতত্ত্বে বিএ (অনার্স) ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হন।
শাহজাহান চৌধুরী শুধু উখিয়া-টেকনাফেই নয়, কক্সবাজার জেলা বিএনপির রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০০৯ সালের ১৭ নভেম্বর থেকেই অদ্যবধি তিনি দুই দফায় কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি, বিএনপির তৎকালীন কক্সবাজার মহকুমা প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
রাজনীতিতে দীর্ঘ সময়ের তার এই সক্রিয়তা ও জনপ্রিয়তার কারণে উখিয়া-টেকনাফে বিএনপির ঘাঁটি আরও দৃঢ় হয়েছে। ফলে আসন্ন নির্বাচনেও শাহজাহান চৌধুরীকে ঘিরে স্থানীয় রাজনীতিতে আলোচনা তুঙ্গে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার-৪ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭১, যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪১, নারী ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮২৮ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন।