কক্সবাজারে এক শিক্ষিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের মামলার তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
।মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস. এম. জিল্লুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার বেদার মিয়া, একই ইউনিয়নের পরানিয়া পাড়ার মোস্তাক মিয়া এবং ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া বেপারী পাড়ার মো. বেলাল উদ্দিন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
ভুক্তভোগী নারী (২৫) কক্সবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ ডিককূল এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তাওহীদুল আনোয়ার জানান, গত ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট সকালে ভাগ্নির মেহেদী অনুষ্ঠান শেষে ইজিবাইক যোগে বাড়ী ফিরছিলেন। তিনি ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে পেছন থেকে আরেকটি ইজিবাইক নিয়ে অনুসরণকারী ৩ যুবক মিলে গতিরোধ করে থামায়। পরে ঝিলংজা ইউনিয়নের চাঁন্দের পাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে ওই নারীকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে দণ্ডপ্রাপ্তরা।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে বেদারসহ অজ্ঞাত ৩ জনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৩ আগস্ট কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট মামলার অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
দীর্ঘ শুনানি ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণা করেন বলে জানান, রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
তাওহীদুল আনোয়ার জানান, আসামি বেদার মিয়া, মোস্তাক মিয়া ও মো. বেলাল উদ্দিনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(৩) ধারায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত হাজতবাস সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।