ওবাইদুল হক চৌধুরী,উখিয়া নিউজ ডটকম::
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী হেলিকপ্টারে করে কক্সবাজারের উখিয়ায় অবতরণ করেন। সেখান থেকে কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে যান দুই মন্ত্রী।
[caption id="attachment_14461" align="alignleft" width="927"] কক্সবাজারে আজ মঙ্গলবার রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনের কর্মকর্তাসহ অন্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন সফরররত ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো এলপি মারসুদি। ছবি : রফিক মাহমুদ[/caption]
ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন।
সেখানে মিয়ানমারে নির্যাতিত ২০ জন রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন রতেনো এলপি মারসুদি। রোহিঙ্গাদের সাথে খোলামেলা আলাপসহ মিয়ানমারে তাদের উপর সেদেশের সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনের কাহিনী শুনেন, কোন কোন রোহিঙ্গার কাহিনী শুনে তিনি তাদের সমবেদনা জানান।
তার সাথে ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, উখিয়া টেকনাফের এমপি আব্দুর রহমান বদিসহ দু’দেশের বিভিন্ন শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এর আগে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো এলপি মারসুদি ঢাকায় আসেন। মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনে সোমবার অনুষ্ঠেয় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে তিনি ঢাকায় আসবেন বলে জানিয়েছিলো ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম।
গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর তিনটি নিরাপত্তা চৌকিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিহত ও কয়েকজন আহত হন। এর পরপরই ওই অঞ্চলে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী।
এদিকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন রোহিঙ্গারা।