রিয়াজুল হাসান খোকন::
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধ্বংস অনিবার্য। তারা যতই কৌশল অবলম্বন করুক আইনের হাত থেকে রেহাই পাবেনা। তাদেরকে আকাশ থেকে মাঠিতে নামানো হবে। ইয়াবা বিক্রি করে তাদের অর্জিত সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাদের পরিবারের কাউকে এই সম্পদ ভোগ করতে দেওয়া হবেনা। ২২ মার্চ বিকাল ৪ টায় টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুর বাজারে টেকনাফ মডেল থানা কতৃক আয়োজিত মাদক,,জঙ্গি,,সন্ত্রাস,,দূর্নীতি বিরুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এ, বি, এম মাসুদ হোসেন (বিপিএম) এই সব কথা বলেন। উক্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ(বিপিএম,,পিপিএম(বার)। এদিকে জেলা পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে আরো বলেন টেকনাফ উপজেলায় কয়েকদিন পর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এই নির্বাচনে ভোট গ্রহন অত্যান্ত সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি টেকনাফের জনগনের কাছে একটি অনুরোধ আপনারা কোনো ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ভোট দিবেন না। একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে কখনো সমাজের মঙ্গল বয়ে আনতে পারবেনা। তাদের দিয়ে কখনো ইয়াবা দমন সম্ভব হবেনা। এই সময় স্থানীয় জনতা পুলিশ সুপারের এই অনুরোধকে করতালির দিয়ে স্বাগত জানান। আর যারা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত হয়ে এখনো আত্নসমর্পণ করেননি তাদের সাবধান করে দেওয়া হচ্ছে।
সময় থাকতে আলোর পথে ফিরে আসুন। নাহলে পরিণাম হবে খুব ভয়াবহ। আমরা চাইনা কোনো মায়ের বুক খালি হোক,,কোনো স্ত্রী বিধবা হোক,,কোনো সন্তান এতিম হোক। কিন্তু দেশকে বাচাঁতে দেশের যুব সমাজকে বাচাঁতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে যে জিরোট্রলাস নীতি গ্রহন করেছে আমরা মুলত সে পথ দিয়ে এগিয়ে যাব। এতে কেউ রেহাই পাবেনা। যদি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের পাশের মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা না দিয়ে সহযোগীতা করে তাহলে তাদেরকেও কোমরে রশি বেঁধে আইনের আওতায় আনা হবে। আর স্থানীয় পাহাড়ে যারা অস্ত্রবাজি করেন সন্ত্রাসী কাজ করেন আপনারা এগুলো পরিহার করুণ। না হলে পুলিশ অন্ত্র নিয়ে গুটিয়ে বসে থাকবেনা। জননিরাপত্তায় পুলিশ অবশ্যই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র চালাবে বলে হুশিয়ারী করেন। অন্যদিকে কোনো পুলিশ সদস্য যদি মাদক কারবারে জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও দেশের প্রচলিত আইননুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া উক্ত সমাবেশে আরো উপস্থিত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসাইন, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম, শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার এম,এ, আবুল মনজুর, অভিনেতা ইলিয়াছ কোবরা, শামলাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব ক্বারী ইউছুফ জামিল, ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম আয়াছ কোম্পানী, শহীদ উল্লাহ শহীদ সহ প্রমুখ। এসময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে মাদকের বিভিন্ন ক্ষতির দিক তুলে ধরেন। এবং প্রত্যেক ওয়ার্ডে মাদক বিরুধী কমিটি করে মাদক বিক্রি বন্ধ করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন।