

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সেনা জান্তার সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গা কেবল ক্যাম্পেই নয়, বরং উখিয়া ও কুতুপালংয়ের বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিচ্ছে। এতে স্থানীয় জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহে উখিয়ার কুতুপালং পশ্চিমপাড়া, উত্তর মসজিদ সংলগ্ন কলোনি ও আশপাশের এলাকায় নতুন রোহিঙ্গাদের ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেক রোহিঙ্গা বিদেশ থেকে টাকা এনে বাড়ি ভাড়া করছে, এমনকি স্থানীয় মেয়েদের বিয়ে করে জমি কিনে বসতি গড়ার চেষ্টাও করছে।
আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো—কুতুপালং পশ্চিমপাড়ার কুখ্যাত ক্যাম্প-ভিত্তিক সন্ত্রাসী ও মাদককারবারীরাও ভাড়া বাসায় বসবাস করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভাড়াটিয়াদের পরিচয় যাচাই করে জাতীয় পরিচয়পত্র থানায় জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও বাড়ির মালিকরা সে নির্দেশ মানছেন না। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এ অবহেলার সুযোগ নিয়ে যেকোনো সময় পশ্চিমপাড়া গ্রামে বড় ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী বলেন,“২০১৭ সালে যারা এসেছিল তাদের অনেকেই এখন স্থানীয়ভাবে মিশে যাচ্ছে। কেউ ব্যবসা করছে, কেউ বিয়ে করে জমি কিনছে। নতুন আসারা ভাড়া বাসায় ঢুকে পড়ায় এলাকায় ভিড় বেড়ে গেছে। এটা নিয়ন্ত্রণ না করলে ভবিষ্যতে বড় সমস্যা হবে।”
সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, সীমান্ত দিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রকৃত সংখ্যা সরকারের হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। কেউ কেউ দাবি করছেন, গত জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত আধা লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ক্যাম্পের বাইরে রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া আইনশৃঙ্খলার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই নতুন আসা রোহিঙ্গাদের দ্রুত ক্যাম্পে পাঠানো এবং ভাড়া বাসায় থাকা রোহিঙ্গাদের কঠোরভাবে চিহ্নিত করার দাবি তুলেছেন তারা।
পাঠকের মতামত