চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে ৩১ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ছাড়াও একাধিক অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় উপজেলার দুধকুমরা এলাকায় কর্ণফুলী টানেল সার্ভিস এরিয়ার ভেতর এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আনোয়ারা আর্মি ক্যাম্পের (৩৮ এডি রেজিমেন্ট) একটি পেট্রোল টিম দ্রুত অভিযানে নামে। ওয়ারেন্ট অফিসার গানার আল আমিনের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সেনাসদস্যরা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৩১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করতে সক্ষম হয়। সেনা সূত্রে জানা গেছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক হলেও বাকিরা নারী ও শিশু।
জানা যায়, প্রায় দুই দিন আগে তারা ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসে। এ প্রক্রিয়ায় একজন দালাল তাদের সক্রিয় সহায়তা করে। জানা যায়, দালাল ৭টি পরিবার থেকে মোট ৬১ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করে। ওই অর্থের বিনিময়ে তিনি নৌকাযোগে তাদের ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকায় পৌঁছে দেন।
আটক রোহিঙ্গারা মূলত বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে চট্টগ্রাম শহর ও রাজধানী ঢাকায় গমনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মিশে গিয়ে অচেনা পরিচয়ে বসবাস করা। এভাবে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদে দেশের ভেতরে থাকার পরিকল্পনা করেছিল।
অভিযান শেষে সেনাবাহিনী আটক ৩১ জনকে কর্ণফুলী টানেল রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটে অবস্থিত নৌবাহিনী ক্যাম্পে হস্তান্তর করে। নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি ইতোমধ্যে সদর দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকা ভৌগোলিকভাবে সমুদ্রপথে প্রবেশযোগ্য হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গারা এখানে প্রবেশের চেষ্টা করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও সুযোগসন্ধানী দালাল চক্র এই প্রক্রিয়াকে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সুত্র,জনকণ্ঠ