প্রকাশিত: ৩০/১০/২০২১ ৯:২৯ এএম , আপডেট: ৩০/১০/২০২১ ৯:২৯ এএম
ফাইল ছবি

সাখাওয়াত কাওসার, কক্সবাজার থেকে::

ফাইল ছবি
yana
নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছিল ওরা। ১০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে বরণ করে নিতে কক্সবাজারের টেকনাফে আয়োজন করা হয়েছিল বিশাল অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রের অনেক কর্তাব্যক্তিও উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। তবে ৭৫ জন এরই মধ্যে জামিনে মুক্ত হয়ে ফিরে গেছেন সেই পুরনো অপরাধে।

বিজিবিসহ আরও কয়েকটি সংস্থার পক্ষ থেকে এর সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। কারণ এরই মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের কাছে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছেন আত্মসমর্পণের পর জামিনে মুক্ত হওয়া দুজন। এখনো ৭৮ জন মাদক মাফিয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে টেকনাফ-উখিয়ার মাদক সাম্রাজ্য।
২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের হাতে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা ও ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী।

সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা। ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আরও ২১ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেন। গত কয়েক দিন টেকনাফ ও উখিয়া এলাকায় সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমার থেকে নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবার বড় চালান প্রবেশ করত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এই এলাকা দিয়ে কিছুদিন বন্ধ ছিল ইয়াবা আসা।
তবে আবারও এ পথে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে ইয়াবা কারবারিরা। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকান্ডের পর থেকে অনেকটা ফ্রি-স্টাইলে সক্রিয় মাদক ব্যবসায়ীরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তালিকায় কক্সবাজার ও টেকনাফের ১ হাজার ১৫১ জন মাদক ব্যবসায়ীর নাম আসে। তার মধ্যে ৭৩ জন শীর্ষ মাদক কারবারি বা পৃষ্ঠপোষকের নাম আছে। তালিকায় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিসহ তার পরিবারের ২৬ জন সদস্য রয়েছে।
এতে তালিকাভুক্ত মাদক কারবারিদের স¤পদের তথ্যও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এবং স্থানীয়রা বলছেন, ইয়াবার চাহিদা থাকায় চালান আসছেই। প্রশাসনের অনেক দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্যকে ম্যানেজ করে টেকনাফ রুট দিয়ে নিয়মিতভাবে ইয়াবা এবং ক্রেজি ড্রাগস ‘আইস’ ঢুকছে। করোনাকালেও থেমে ছিল না মাদক প্রবেশ। অভিযোগ রয়েছে সেই সময় দেশের ইতিহাসে বড় বড় চালান দেশে ঢুকেছে আর সেগুলো মজুদ করা হয়েছিল উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে সেইফ জোন মনে করে মাদক কারবারিরা। এখনো সমুদ্রপথে বড় বড় চালান আনার পর তা প্রথমে ক্যা¤েপর নিরাপদ জায়গায় নেওয়া হয়।
র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস্) কর্নেল কে এম আজাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যারা আত্মসমর্পণ করার পরও মাদক ব্যবসা ছাড়তে পারেনি তারা এখন আর কোনো ধরনের সহানুভূতি পাবে না। কেবলমাত্র মাদক ঠেকানোর জন্যই কক্সবাজারে র‌্যাবের একটি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অতীতের মতোই আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দেশবাসী এর সফলতাও দেখছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এক সময় নাফ নদ দিয়ে বেশি চালান এলেও এখন বদলে গেছে রুট। এখন সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালীর বিভিন্ন ফিশিং পয়েন্টগুলো হরহামেশাই ব্যবহৃত হচ্ছে ইয়াবা আনলোডের জন্য।

১০ বছরের বেশি সময় মাদকবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, তিনটি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে মাদক দমন করা সম্ভব নয়। এগুলো হলো-মাদক কারবারের অর্থনৈতিক চেইন বন্ধ করা। বিভিন্ন অভিযানে বাহকসহ ছোট কারবারি ধরা পড়লেও অর্থ বিনিয়োগকারী ও রাঘববোয়ালরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তৃতীয়ত, টেকনাফ বন্দর হয়ে বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে মাদকের অর্থ লেনদেন হয়। মূলত টেকনাফ থেকে বার্মিজ কাপড়, আচার, কাঠ ও পিঁয়াজ আসে। এর সঙ্গে মাদকও আনা হয়। তার মত হলো, ইয়াবার স্রোত বন্ধ করতে হলে প্রয়োজনে মিয়ানমারের বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে। মিয়ানমার থেকে স্থায়ীভাবে গরু আমদানিও বন্ধ করা দরকার। কারণ এসব গরু বিক্রির অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে মাদক কারবারে ব্যবহার হয়।

নিজস্ব অনুসন্ধান এবং একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে স্থানীয় প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে মাদক মাফিয়ারা। রাষ্ট্রের একাধিক সংস্থার মাদক ব্যবসায়ী তালিকায় তার আত্মীয়স্বজনের নাম উঠে এসেছিল। তবুও তাদের স্পর্শ করতে পারেনি কেউ। বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন তারা। রহস্যজনকভাবে সবকিছু ম্যানেজ করে তারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচনেও অনেকে প্রার্থী হতে এলাকায় প্রচারণা ও উচ্চ মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। জানা গেছে, ওই রহস্যজনক নেতার ছোট ভাই মৌলভী মুজিবুর রহমান, ভগ্নিপতি নুরুল আলম, ভগ্নিপতি ফারুক, হাফেজ এনামুল হাসান। মৌলভী মুজিবুরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত কাদির হোসেন ওরফে মগ কাদির। তিনি মিয়ানমারের নাগরিক হলেও ১০ বছর ধরে টেকনাফে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। মিয়ানমারে তার আপন ভাই রয়েছে। সেখানে সে একজন বড় মাপের কারবারি। মাদক মাফিয়াদের অন্যতম টিটি জাফর। অনেকগুলো মামলা নিয়ে দুবাইয়ে ফেরারি তিনি। তবে এলাকায় খবর রয়েছে তার মায়ের মৃত্যুর সময় তিনি জানাজায় অংশ নিয়েছিলেন। টিটি জাফরের এক ভাই মনিরুজ্জামান বর্তমানে পৌরসভার কাউন্সিলর। ছোট ভাই গফুর আলম।

জানা গেছে, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী মিয়ানমারের নাগরিক মংমং সেনের মাধ্যমে সেই প্রভাবশালী নেতা মিয়ানমারের নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করেন। তালিকায় না থাকলেও আরেক মিয়ানমারের নাগরিক সৈয়দ হোসেন তার নেটওয়ার্ক সমুন্নত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। হোসেনের পরিবার মিয়ানমারের আকিয়াব জেলায় প্রভাবশালী।

সূত্র বলছে, সদরের মৌলভী পাড়ার-জাফর আলম এবং নুরুল আলম দুই সহোদরের নেতৃত্বে বিশাল সিন্ডিকেট সক্রিয়। হাবির পাড়ার ছিদ্দিকের নেতৃত্বে রয়েছে ভয়াবহ মাদকের সিন্ডিকেট। আত্মসমর্পণের পর জামিনে মুক্ত হয়ে আবার সক্রিয় হয়েছেন সদরের নাজির পাড়ার মৃত মোজাহারের ছেলে এনামুল হক প্রকাশ ওরফে এনাম মেম্বার।

আত্মসমর্পণের পর যারা জামিন পেয়েছেন : আদালত ও জেলা পুলিশের সূত্র অনুযায়ী আত্মসমর্পণের পর জামিনে রয়েছেন- টেকনাফ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড অলিয়াবাদের এজাহার মিয়ার ছেলে আবদুস শুক্কুর (৩৭) ও তার সহোদর ভাই আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিন (৪৪)। টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার পশ্চিম লেদার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল হুদা মেম্বার (৪১) ও তার সহোদর ভাই নুরুল কবির (৩৮)। সদরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের জাফর আহমেদ ছেলে দিদার মিয়া (৩৮)। সাবরাং মুন্ডার ডেইল আবদুর রহমানের ছেলে সাহেদ রহমান (বদির ভাগিনা)। টেকনাফ পৌরসভা ডেইল পাড়া কালা মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবদুল আমিন (৩৭), নুরুল আমিন (৪০)। সদরের নাজির পাড়ার মৃত মোজাহারের ছেলে এনামুল হক প্রকাশ এনাম মেম্বার। মৌলভী পাড়ার ফজল আহম¥দের ছেলে একরাম (২৫)। নাজির পাড়ার মৃত কালা মিয়ার ছেলে সৈয়দ হোসেন (৫৭)। সাবরাং মুন্ডার ডেইল এলাকার মৃত নজির আহম্মদের ছেলে সাহেদ কামাল (৩৫)। টেকনাফ পৌরসভার পুরান পল্লান পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে শাহ আলম (৩৮)। সদরের নাজির পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান (৩৩)। পৌরসভার মধ্যম জালিয়া পাড়ার আবদুল গাফ্ফারের ছেলে মোজাম্মেল হক (৩১)। পৌরসভার দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার ওসমান গনির ছেলে জুবাইর হোসেন (৩৩)। পৌরসভার কুলাল পাড়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. ইউনুছের ছেলে নুরুল বশর ওরফে নুরশাদ (৩৪)। পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কুলাল পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে কামরুল হাসান রাসেল (৩৮)। সদরের গোদারবিলের আলী আহম্মদের ছেলে আবদুর রহমান (৩৫) ও তার সহোদর ভাই জিয়াউর রহমান (৩০)। হ্নীলা বাজার পাড়ার মৃত আমীর সওদাগরের ছেলে মোহাম্মদ শাহ (৬১)। পৌরসভার নাইট্যং পাড়ার আবদুল খালেকের ছেলে মো. ইউনুছ (৫০)। হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার সৈয়দ হোসেন ওরফে ছৈয়তু (৫৯)। হ্নীলা রঙ্গিখালী এলাকার মৃত হায়দার আলীর ছেলে ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মো. জামাল (৫৫) ও তার ছেলে শাহ আজম। হ্নীলা জাদিমুড়ার আবুল মনজুরের ছেলে আবদুল্লাহ হাসান (৩৭)। সাবরাং শাহপরীর দ্বীপ উত্তর পাড়ার মৃত এবাদুল হকের ছেলে ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার রেজাউল কমির রেজু (৩৭)। হ্নীলা লেদা পূর্বপাড়ার জালাল আহম্মেদের ছেলে মো. আবু হাহের (৪৪)। হ্নীলা ফুলের ডেইলের আবদুল জব্বারের ছেলে রমজান আলী (৩১)। হ্নীলা পূর্ব লেদার মৃত লাল মিয়ার ছেলে ফরিদ আলম (৪৫)। হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার মাহবুব আলম (৩৯)। সদরের নাজির পাড়ার নুরুল আলমের ছেলে মো. আফসার (২৭)। পৌরসভা নাইট্যং পাড়া লাল মোহাম্মদের মো. হাবিবুর রহমান ওরফে নুর হাবিব (২৭)। সাবরাং পানছড়ি পাড়ার আলী আহম্মদের ছেলে ও বর্তমান ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শামসুল আলম ওরফে শামসু মেম্বার (৩৫)। পৌরসভার পুরান পল্লান পাড়ার মো. আইয়ুবের ছেলে মো. ইসমাইল (৩৭)। সদরের মৌলভী পাড়ার মৃত নুরুর হকের ছেলে আবদুল গনি (৩৬)। সদরের মৌলভী পাড়ার মৃত কালা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪০)। সদরের নাজির পাড়ার মৃত কালা মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন (৫৬)। সাবরাং কচুবনিয়ার আবদুল খালেকের ছেলে আবদুল হামিদ (৩৮)। হ্নীলা পূর্ব পানখালীর মৃত আবুল হাসানের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৫)। হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার মৃত খায়রুল বশরের ছেলে রশিদ আহমেদ ওরপে রশিদ খুলু (৫৭)। সাবরাং মুন্ডার ডেইলের মাস্টার সৈয়দ আহমদের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে দানু মেম্বার (৪০)। সদরের জাহালিয়া পাড়ার সামশু মিয়ার ছেলে মো. সিরাজ (৩১)। পৌরসভার চৌধুরী পাড়ার মৃত মোজাহার মিয়ার ছেলে মো. আলম (৪৫)। সদরের মধ্যম ডেইল পাড়ার মো. শরীফের ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৯)। সদরের রাজারছড়ার মো. কাশেমের ছেলে হোসেন আলী (৩০)। সাবরাং দক্ষিণ নয়াপাড়ার মৃত মৌলভী আলী হোসেনের ছেলে মো. তৈযুব (৪৯)। পৌরসভার উত্তর জালিয়া পাড়ার সৈয়দ নুরের ছেলে নুরুল কবির মিঝি (৫৮)। সাবরাং আলীর ডেইলের মৃত খুইল্লা মিয়ার ছেলে জাফর আহম্মদ (৪৬)। সদরের নাজির পাড়ার আবদুল গনির ছেলে জাফর আলম (৪০)। হ্নীলা ফুলের ডেইলের মৃত সৈয়দুল আমিনের ছেলে রুস্তম আলী ওরফে রুস্তম (৪০)। হ্নীলা পশ্চিম লেদার নুর আহমদের ছেলে মো. হোছাইন (৩৫)-সহ ৭৫ জন।

এর মধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বর শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়া মৃত দুদু মিয়ার ছেলে নুরুল আলম (৩৯) ৯২ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা নিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এর আগে গত ২৩ মে হ্নীলা আলীখালি এলাকার জামাল মেম্বারের ছেলে শাহ আজম ১০ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়।

বিজিবি-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, আত্মসমর্পণকারীরা জামিন পেয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে এমন খবর আমরা পাচ্ছি। বলতে গেলে রুট পরিবর্তন করে মাদকের বড় চালানগুলো এখন সমুদ্রপথে পাচার হচ্ছে। সম্প্রতি জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মাদকের চালান আটকের ঘটনাগুলো সেটি প্রমাণ করে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটাই করার চেষ্টা করছি। তবে ইয়াবার চাহিদা বন্ধ করতে ইয়াবাসেবীদের সামাজিকভাবে বয়কট-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। চাহিদা থাকলে ইয়াবা আসবে। যেহেতু এটা লাভজনক ব্যবসা। এ জন্য অনেকে জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকে। মূল ইয়াবা কারবারিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে নাফ নদের তীর ঘেঁষে নির্মিত হচ্ছে ৬১ কিলোমিটার লম্বা নির্মিত সীমান্ত সুরক্ষা সড়ক। এটি বাস্তবায়ন স¤পন্ন হলে মাদক চালান অনেকটাই বন্ধ হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

পাঠকের মতামত

খেলাভিত্তিক শিক্ষায় ব্র্যাকের তথ্য বিনিময় অনুষ্ঠান

শিশুদের খেলাভিত্তিক শেখা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও মনোসামাজিক বিকাশ নিশ্চিতে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ...

১২ ফেব্রুয়ারি ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ধর্মীয় প্রচার কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ...

জামিন বাতিল, মহেশখালীর তোফায়েল হত্যা মামলায় ৭ জন কারাগারে

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা জুলাই অভ্যুথানে নিহত শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর ...