হুমায়ুন রশিদ :
টেকনাফে আইন-শৃংখলা বাহিনী ও সীমান্ত রক্ষী বিজিবির সাথে পৃথক বন্দুক যুদ্ধে মহিলাসহ ৩ মাদক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে নিহত হয়েছে। এতে পুলিশি-বিজিবির সদস্যরা আহত হয়েছে। অপর দিকে পাহাড়ে গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজ থাকা এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়,১৭ জুলাই বুধবার ভোরে উপজেলার জাদিমোরা সংলগ্ন শিকল ঘেরা পাহাড় এলাকায় পুলিশের সাথে মাদক কারবারীদের গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশ সদস্যরা আহত হয়। পুলিশও আতœরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণের পর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে অস্ত্র ইয়াবাসহ ছমি উদ্দিনের স্ত্রী হামিদা বেগম (৩২) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
অপরদিকে রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিজিবি জওয়ানেরা মাদকের চালান খালাসের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাদিমোরা সংলগ্ন শিকল পাড়ায় অবস্থান নেয়। এসময় মাদক কারবারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ করলে বিজিবির নায়েক মোঃ রেজাউল (৪০) সিপাহী মোঃ মতিউর রহমান (২৪) ও ইমরান হোসেন (২৩) আহত হয়। বিজিবিও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল হতে ১০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় লম্বা বন্দুক ও ৩ রাউন্ড কার্তুজসহ যশোরের শুক্কর আলীর পুত্র জাবেদ মিয়া (৩৪) ও চাঁদপুরের রেজোয়ান সওদাগরের পুত্র আসমাউল সওদাগর (৩৫) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহত বিজিবি জওয়ানদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাবেদ ও আসমাউলকে কক্সবাজার রেফার করা হয়। কক্সবাজার যাওয়ার পথেই তারা মৃত্যু বরণ করে। মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশী অভিযানের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো নাহলেও তদন্ত স্বাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া সকাল ৮টায় হ্নীলা রঙ্গিখালী পাহাড় হতে গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজ থাকা স্থানীয় মৃত আব্দু সাত্তারের পুত্র ৭জন ছেলে-মেয়ের জনক আবুল হাশেম (৫০) এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন হার্টস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।