সরওয়াল আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::
গ্রেফতার হওয়ার বছর দেড়েক আগে থেকে গ্রেফতার হওয়ার দিন পর্যন্ত উখিয়ার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত পালংখালী ইউনিয়নের মেম্বার জয়নাল আবেদিন রক্ষিতা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল এনজিও সংস্থা হ্যান্ডিক্যাপের জিনাতুন্নেছাকে। তাকে জয়নাল ইয়াবা পাচারেও ব্যবহার করতো বলে একাধিক সুত্র জানায়।
জানা যায়, বগুড়া আদম দীঘি থানার মোড়ল বাজার এলাকার মো: আব্দুল হাইয়ের মেয়ে জিন্নাতুন নেছা (২৯)। এনজিওর গাড়ীতে মেম্বার জয়নালের ইয়াবা পাচারের পাশাপাশি উচ্চবিলাসী চালচলনে অভ্যস্ত জিন্নাত এর আগেও একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে এক পুরুষের সাথে সম্পর্ক বেশীদিন স্থায়ী হতো না জিন্নাতের। চাকরির খাতিরে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগমনের পর স্থানীয় এনজিও সংস্থা মুক্তিতে প্রজেক্ট অফিসার হিসেবে কাজ শুরু করা জিন্নাত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে অন্য একটি এনজিওর কর্মকর্তা মোহাম্মদ নবীর সাথে। এটা ২০১৮ সালের ঘটনা। কবি টাইপের এ কর্মকর্তার সাথে জিন্নাতের সম্পর্ক সে সময় এনজিও পাড়ায় ব্যাপক আলোড়ন তুলে। সেই থেকে নবী -জিন্নাতের সম্পর্কের ইতি। এরপর জিন্নাত বিভিন্ন জনের সম্পর্ক গড়েও সুবিধা গড়তে পারেনি। সর্বশেষ ইয়াবা ব্যবসায় নেশায় পড়ে এনজিওর চাকরিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে পালংখালী ইউনিয়নের মেম্বার চিস্থিত ইয়াবা কারবারি জয়নালের সাথে জড়িয়ে পড়ে ইয়াবা বানিজ্য। সুযোগ পেয়ে মেম্বার জয়নাল ইয়াবা পাচারের পাশাপাশি জিন্নাতকে রক্ষিতা হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু। গত শুক্রবার সকালে কক্সবাজার গ্রীন কটেজ এলাকা থেকে জিন্নাত সহ জয়নাল মেম্বারকে আটক করে কক্সবাজার থানা পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি দেশী তৈরি বন্ধুক ও ২ শত পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট। গ্রেফতারকৃত জিন্নাত পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সে এনজিও সংস্থা হ্যান্ডিক্যাপ প্রজেক্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত।
কক্সবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন খন্দকার উখিয়া নিউজ ডটকমকে জানান, ধৃত ইয়াবা কারবারী জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে আরও ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জয়নাল আবেদীন পালংখালী তাজনিমার খোলা গ্রামের মো: হোসেনের ছেলে সে পালংখালী ৪নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার গ্রেফতার এড়াতে সে কক্সবাজারে আত্বগোপন করছিল বলে জানা গেছে। তার গ্রেফতারের খবর পেয়ে থাইংখালীর ছোট বড় মাঝারি ধরনের ইয়াবা কারবারীরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।