প্রকাশিত: ২৫/১১/২০২১ ৫:২৮ পিএম , আপডেট: ২৫/১১/২০২১ ৫:৩২ পিএম

পুলিশের চাকরি পেতে হলে থাকতে হবে টাকা নয়তো মামার তদবির। এমনই শ্রুতিকথা বহুল প্রচলিত থাকলেও উল্টো চিত্র মুন্সিগঞ্জে। জেলায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে আবেদন করেছিলেন এক হাজার ১৪৩ জন। কোনো রকম ঘুষ-তদবির ছাড়াই বিভিন্ন ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩০ জনের চাকরি হতে চলেছে মাত্র ১৩০ টাকা খরচে।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাতে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ পেতেই এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয় জেলা পুলিশ লাইন মাঠে। যোগদানের পর দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন উত্তীর্ণরা।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর থেকে জেলায় শুরু হয় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা। প্রাথমিকভাবে ১৪৩ জন নারী এবং ১০০ জন পুরুষ মিলে ১১৪৩ জন পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান। যাদের মধ্যে শারীরিক সক্ষমতার বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে ২৮৫ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১০ জন। এ ১১০ জনের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে বুধবার রাতে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৫ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। অপেক্ষমাণ আছেন আরও কয়েকজন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভেরিফিকেশনে উত্তীর্ণ হলে তারা যাবেন প্রশিক্ষণে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মোমেন জানান, কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করায় একজনকে গ্রেফতারও করা হয়। তার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা ও যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তারা যেহেতু স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ পেলো, তাই জনগণ বা মানুষ পুলিশের কাছে যে সেবা প্রত্যাশা করেন তারা যেন তা পূরণ করতে পারেন। চাকরির আবেদনে যে ১০০ টাকা খরচ হয়েছে তা চালানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পাঠকের মতামত

পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

‘ঈদ এসেছে দুনিয়াতে শিরনি বেহেশতী/দুষমনে আজ গলায় গলায় পাতালো ভাই দোস্তি’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ...