ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৬/০৯/২০২২ ৯:৪৮ এএম

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের ৩নং সদর ইউনিয়ন,১নং ওয়ার্ড, মিঠা পানির ছড়া এলাকায় অবস্থিত উম্মে হানি বালিকা মাদ্রাসা ও বালিকা হিফজ বিভাগের ছাত্রী জুবাইদা খানম মাত্র ১১ মাসে পবিত্র মহা গ্ৰন্থ আল কোরআন মুখস্থ করে হেফজ সমাপ্ত করেন।

সোমবার ( ৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উক্ত মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন,খুদে হাফেজা জুবাইদা খানমের মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা উমর ফারুক।

তিনি বলেন,আমার মাদ্রাসার শিক্ষিকা মোছাম্মৎ নিশাদ অনেক ভালো হাফেজা,তিনি আমার মাদ্রাসার সকল ছাত্রীরা যেন দ্রুত সময়ে মহাগ্রন্থ আল কুরআন হেফজ সমাপ্ত করে পিতা-মাতা, উস্তাদসহ অত্র প্রতিষ্ঠানের সুনাম অর্জন করে এইটাই আমলে নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন,পবিত্র কোরআনই একমাত্র সর্বশ্রেষ্ট কিতাব, যেটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুখস্থ করা হয় মহান আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ রহমতের মাধ্যমে। আল কোরআন মুখস্থকারীদের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে নানান পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। হাদিসে স্পষ্টভাবে এসেছে,
পবিত্র কোরআনের ধারক-বাহকদের সম্মানের কথা।
এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ঐ ব্যক্তি,
যে ব্যাক্তি নিজে কোরআন মজিদ শিক্ষা করে,
এবং অন্যদের শিক্ষা দেয়, (আল হাদিস)
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মপ্রাণ।
ধর্মের প্রতি মমত্ববোধ এবং আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টির জন্য নিজে যেমন কোরআন শিখেন,
তেমনি সন্তানদের ও শেখান।
অনেকে আবার সন্তানদের পবিত্র কোরআনের হাফেজ/ হাফেজা বানান। শুধু বাংলাদেশ নয়,
সারা বিশ্বের আনাচে-কানাচে রয়েছে লাখ লাখ কোরআনে হাফেজ/ হাফেজা,বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার ছাত্র/ ছাত্রীরা কোরআনের হাফেজ/ হাফেজা হচ্ছেন।
অবাক হওয়ার বিষয় হলো,বিপুল সংখ্যক কোরআনের হাফেজ/হাফেজাদের কোরআন মজিদ মুখস্থ কারার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই।
কেউ বুড়ো বয়সে, কেউ কিশোর বয়সে, কেউ আবার শিশু অবস্থায় কোরআন মুখস্থ করছেন। এমনকি অন্ধ নর/নারীরা মহান আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ রহমতের মাধ্যমে কোরআন তেলাওয়াত শুনে শুনে মহা গ্ৰন্থ আল-কোরআন মুখস্থ করার নজির রয়েছে।মহা গ্ৰন্থ আল-কোরআন মুখস্থ করার যেমিন নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই,তেমনি দিনে কিংবা মাসে কে কতটুকু মুখস্থ করবে তার কোন বিধি-নিষেধ নেই। এভাবেই সমগ্র পৃথিবীতে অল্প বয়সে,কম সময়ে পবিত্র মহা গ্ৰন্থ আল-কোরআনের হাফেজ/ হাফেজা হচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র ১১ মাসে পুরো কোরআন শরীফ মুখস্থ করে হাফেজা হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছেন টেকনাফের জুবাইদা খানম।
জুবাইদা খানমের বাড়ি টেকনাফ পৌরসভা ইসলামাবাদ ৪নং ওয়ার্ড,পিতার নাম-মৌলভী জবাইয়ের আহমেদ,খুদে হাফেজা জুবাইদা খানমের পিতা-মৌলভী জবাইয়ের আহমেদ বাড়ির পাশে একটি নুরানী মাদ্রাসায় চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তার মেয়ে অল্প সময়ে কুরআনের হাফেজ হওয়ায় মাদ্রাসার কতৃপক্ষ ও মহান আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন,এবং তিনি তার মেয়ে হাফেজা জুবাইদা খানমের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন দেশ বাসীর কাছে।
মিঠা পানির ছড়া উম্মে হানি বালিকা মাদ্রাসা ও বালিকা হিফজ বিভাগের ছাত্রী জুবাইদা খানমের হেফজের শেষ সবক শোনেন, অত্র মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষিকা মোছাম্মৎ হাফেজা নিশাদ।
উক্ত মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা উমর ফারুক জানান,
অল্প সময়ের মধ্যেই নাজেরা সহিহ শুদ্ধভাবে শেষ করে হিফজ শুরু করেন। হিফজ শুরুর পরই তার শিক্ষিকা,হাফেজা মোছাম্মৎ নিশাদ তার মাঝে মেধার শক্তি দেখতে পান। সে ধারাবাহিকতায় তার শিক্ষকিকা অনেক চেষ্টা চালিয়ে মাত্র ১১ মাসে কোরআনের হিফজ সমাপ্ত করার সহযোগিতা করেন,খুদে হাফেজা জুবাইদা খানমের শিক্ষিকা হাফেজা মোছাম্মৎ নিশাদ,
আমি মহান আল্লাহ তা’য়ালার নিকট শুকুরিয়া আদায় করি,এবং তাঁহার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি,আমি মাদ্রাসার কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে হাফেজা জুবাইদা খানমের জন্য মাদ্রাসার পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য,টেকনাফ,সদর ইউনিয়ন, মিঠা পানির ছড়া এলাকায় ১নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ব্যতিক্রমী ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উম্মে হানি বালিকা মাদ্রাসা ও বালিকা হিফজ খানা মাদ্রাসাটি ২০২১সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠতা করেন,মিঠা পানির ছড়া এলাকার কয়েকজন তরুণ।৫জন শিক্ষকের অধীনি ৪র্থ শ্রেণী, ৫ম শ্রেণী,হিফজ বিভাগ ও নুরানী বিভাগসহ প্রায় এক শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে বলে জানান মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা উমর ফারুক

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...