ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলার মূল অভিযুক্ত ফয়সাল দেশ ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ফয়সালসহ আরও একজন ময়মনসিংহ হয়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়েছে। এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড রহস্যজনক। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি মধ্যে এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত, তা উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশ, ডিবি, র্যাবসহ সব গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছে। তদন্তে আমরা সন্তোষজনক অগ্রগতি পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য এখন প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এতে প্রতিপক্ষ সতর্ক হয়ে যেতে পারে।’
ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি জানান, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে হাদি গুলিবিদ্ধ হন। জুমার নামাজ শেষে প্রচার চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলে আসা ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার অজ্ঞাত পরিচয় সহযোগী হাদিকে লক্ষ্য করে চলন্ত অবস্থায় গুলি চালায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ১৫ ডিসেম্বর হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হত্যাচেষ্টা ও বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।