ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০২/০৩/২০২৩ ৭:১৯ এএম

কোটা পূরণ না হওয়ায় এ বছর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সবশেষ ক্রমিক আগের সিরিয়াল বহাল রেখে ৪৫ হাজার ৫১৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সবশেষ ক্রমিক আগের সিরিয়াল বহাল রেখে ৮ লাখ ৪৬৭ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। আর বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের হজযাত্রার খরচের তথ্য প্রকাশ করেছে জার্মানির বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলে। তাতে দেখা গেছে, এসব দেশগুলোর চেয়ে হজযাত্রায় বাংলাদেশিদের বেশি টাকা খরচ করতে হয়।

ভারত
আনন্দবাজার পত্রিকা ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে হজে যেতে জনপ্রতি খরচ হয়েছিল বাংলাদেশি প্রায় তিন লাখ টাকা। তবে ওই সময় পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটি ২০২১ সালের হজের খরচ অনেক বাড়িয়ে চার লাখ ২৩ হাজার ৫৭১ টাকা নির্ধারণ করেছিল। আর এ বছর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত খরচের হিসাব জানানো হয়নি। ২০১৮ সালে ভারতে হজ ভর্তুকি বন্ধ করে দেয়া হয়।

পাকিস্তান
চলতি বছর হজের খরচ এখনও চূড়ান্ত করেনি দেশটির সরকার। তবে পাকিস্তান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুহাম্মদ উমর বাট গত শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন, এবার হজে যেতে জনপ্রতি ৩ লাখ ১১ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।

মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া থেকে হজে যেতে সর্বনিম্ন ২ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা দিতে হয়। গত বছরের ২২ এপ্রিল দেশটির সরকার হজে যাওয়ার এই খরচ ঘোষণা করে।

এতে বলা হয়েছে, বি-৪০ গ্রুপের (যে পরিবারের মাসিক আয় ৯৬ হাজার টাকার কম) মুসল্লিদের জন্য ২ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ টাকা। আর যেসব পরিবারের মাসিক আয় এর চেয়ে বেশি, তাদের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ধর্ম বিভাগের মন্ত্রী ইদ্রিস আহমাদ সম্প্রতি জানিয়েছেন, প্রতিবছর হজে ভর্তুকি হিসেবে সরকার ৬০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়।

ইন্দোনেশিয়া
অন্যান্য দেশের তুলনায় হজযাত্রায় ইন্দোনেশিয়া মুসলমানদের অনেক কম টাকা খরচ করতে হয়। সেখানে হজে যেতে হলে জনপ্রতি ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৩ টাকা খরচ হয়। হজযাত্রায় আরও টাকা লাগলে সেটি সরকারের ‘হজ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’ থেকে ভর্তুকি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষেআগামী ২৭ জুন (৯জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে১ লাখ ২৭ হাজার১৯৮ জন হজ করতেপারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ওঅবশিষ্ট ১ লাখ ১২হাজার ১৯৮ জন বেসরকারিব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগপাবেন।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...