সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন, টেকনাফ::
সেন্টমার্টিন দ্বীপে গিয়ে খুশীতে আত্বহারা হচ্ছেন দেশী-বিদেশী পর্যটক। এতে পর্যটকরা সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য্যসহ অনেক কিছু দেখে মুগ্ধ হয়ে উঠছে। এ বছর অনেক দেশ-বিদেশের পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে যাচ্ছেন। অনেকদিন পর হলেও দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় সেন্টমার্টিন মুখরিত হওয়ায় দ্বীপের মানুষগুলো অনেক খুশি। ফিরে পেয়েছে সেন্টমার্টিনে প্রাণচাঞ্চল্য। বিকিকিনি চলছে প্রবালসহ হরেক রকমের পণ্য। জানা গেছে, পর্যটকবাহী ৫টি জাহাজ পর্যটক নিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচল করছে। সকলের প্রিয় এমভি গ্রীনলাইন জাহাজের টেকনাফ ইনচার্জ মোঃ মিরাজুল ইসলাম বলেন, পর্যটকরা আরাম আয়েশের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন যেতে এবং দ্রুত সময়ে নিরাপদে আসা-যাওয়া করতে একমাত্র এমভি গ্রীনলাইনকেই বেচে নিচ্ছে। তাছাড়া তিনি আশা করছেন আগামীতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে। অন্যদিকে এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজের ইনচার্জ আজিজ কুতুব ও সহকারী মোঃ আলমগীর জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। আগামীতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের আবাসিক হোটেল সী স্যান্ড রিসোর্টের ডিরেক্টর মোঃ সরোয়ার কামাল জানান, পর্যটকবাহী জাহাজ আসায় সেন্টমাটিন দ্বীপে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পাশাপাশি অনেক রুম অগ্রিম বুকিংও হয়ে যায়। এছাড়াও একমাত্র আমাদের হোটেলেই বিদুৎ না থাকলেও চব্বিশ ঘন্টা পর্যটকদের সুবিধার জন্য সোলারের মাধ্যমে বিদুৎ সুবিধা দেওয়া হয়। যার ফলে পর্যটকরা অত্যান্ত খুশী। সেন্টমার্টিন দ্বীপে নতুন পুরনো মিলে শতাধিক হোটেল এবং কটেজ রয়েছে। সেন্টমার্টিনের স্টেমার্টিন ভিলেজ রেস্তোরার ইনচার্জ মোঃ আবছার কামাল ও ইউরো বাংলা রেস্তোরার মালিক মোঃ জিয়াউল হক জিয়া জানান, আমাদের হোটেলে এসে পর্যটকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী ও তাদের মনমত স্বল্প খরচে যেকোন কিছু খেতে পারছে। অন্যদিকে হোটেল এবং কটেজের বেশিরভাগ কক্ষ আসার আগেই অগ্রিম বুকিং করে ফেলে পর্যটকরা। সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রব জানান, দ্বীপের মানুষ সব সময় পর্যটকবান্ধব। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও দেশী-বিদেশী পর্যটকরা নিরাপদে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ করতে পারছেন। এতে কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছেনা। সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ(আইসি) আব্দুস সালাম বলেন, সেন্টমার্টিনে দুর দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা তাদের ইচ্ছেমত ঘুরে আনন্দের মধ্যেই নিরাপদে বাড়ী ফিরছে। এমনকি তাদের এখানে থাকাকালীন কোন সমস্যাতে পড়তে হচ্ছেনা। তাছাড়া আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং পর্যটকদের সহযোগীতা ও সেবা দেওয়ার জন্য দ্বীপের মানুষগুলো সবসময় প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি জানান।