উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬/১০/২০২২ ৯:২৪ এএম

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে সেন্টমার্টিনে ভেসে আসা মনুষ্যবিহীন জাহাজটি বাংলাদেশে পাথর নিয়ে এসেছিল। এটি মূলত একটি বার্জ। টুইন বার্জ ওয়্যার নামের এই বার্জটিকে একটি টাগ টেনে এনেছিল। বার্জটিতে বিএনএস শেখ হাসিনা নামের সরকারি প্রকল্পের ৯ হাজার ৬শ টন পাথর ছিল। পাথর খালাস করে সিঙ্গাপুরে ফিরে যাওয়ার পথে বার্জটি উত্তাল সাগরে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়ে। ঝড়ের তোড়ে কোনো এক পর্যায়ে টাগ থেকে বার্জটির বাঁধন ছিড়ে যায়। এতে উত্তাল সাগরে ভাসতে ভাসতে বার্জটি সেন্টমার্টিনের উপকূলে এসে মাটিতে আটকা পড়ে।
মেরিন মার্কেন্টাইল ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপল অফিসার ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আজাদীকে জানান, সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া বার্জটি কোনো পরিত্যক্ত বা ভুতুড়ে জাহাজ নয়। এটি সিঙ্গাপুরের একটি বার্জ। এটি নাম এম আর ৩৩২২। সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী বার্জটি মেরিনা টোয়েজ প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকানায় নিবন্ধনকৃত। এটির দৈর্ঘ্য ১১০.৬ মিটার এবং প্রস্থ ৩০ মিটার। এটি দশ হাজার টন পণ্য পরিবহন করতে পারে। এটির নিজস্ব কোনো ইঞ্জিন নেই। মালয়েশিয়ার একটি বন্দর থেকে ৯ হাজার ৬শ টন পাথর বহন করে বার্জটি কুতুবদিয়ায় আসে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে বার্জটিকে একটি টাগ মালয়েশিয়া থেকে টেনে কুতুবদিয়ায় এনে পাথর খালাস করে। দুদিন আগে বার্জটিকে টেনে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বার্জটির স্থানীয় এজেন্ট জার ওয়ার্ল্ড লজিস্টিকস।
তিনি জানান, এটি সর্বোচ্চ জোয়ারের সময় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে। এতে করে এটি দ্বীপের ঠিক যতটুকু উচ্চতায় গিয়ে মাটিতে আটকা পড়ে ততটুকু জোয়ার না হলে এটি ভাসবে না। তাই এটিকে নামিয়ে স্বাভাবিকভাবে ভাসাতে সময় লাগবে। বার্জটি একইভাবে থাকলেও কোস্টগার্ড এটির দেখভাল করছে।
নামানো কঠিন হবে : বিডিনিউজ জানায়, সেন্টমার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপে উঠে আসা মানবশূন্য বার্জটিকে নামানো কঠিন হয়ে দেখা দিয়েছে। ঝড়ের পরদিন গতকাল টাগবোট দিয়ে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বার্জটি। এখন চট্টগ্রামের বেসরকারি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এটিকে সাগরে নামানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কোস্ট গার্ডের সেন্টমার্টিন বিএন স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাগিব তানজুম স্বর্ণাভ বলেন, জোয়ার আর ঝড়ো হাওয়ার কারণে বার্জটির অবস্থান এখন পরিবর্তন হয়েছে। এটি এখন বেশ উপরে উঠে এসেছে। প্রায় পুরোটাই এখন ছেঁড়াদ্বীপের উপরে আছে। বার্জটি খুব বাজেভাবে আটকে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বার্জটির মালিক পক্ষের তরফ থেকে একটি টাগবোট এসেছিল। তারা আজ (গতকাল) পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। পরিস্থিতি দেখে তারা জানিয়েছে, তাদের একার পক্ষে এটিকে সমুদ্রে নামানো সম্ভব হবে না। বার্জটিকে উদ্ধারে তারা বাংলাদেশের প্রান্তিক বেঙ্গল স্যালভেজ অ্যান্ড ডাইভিংয়ের সাথে যোগাযোগ করেছে। আগামীকাল (আজ) চট্টগ্রাম থেকে তাদের একটি দল আসবে। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তারা এটিকে কীভাবে নামানো যায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রান্তিক বেঙ্গল স্যালভেজ অ্যান্ড ডাইভিংয়ের অপারেশন ম্যানেজার শোয়েব হোসেন বলেন, বার্জটি উদ্ধারে ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, এখনও ফাইনাল হয়নি। কবে নাগাদ উদ্ধার তৎপরতা শুরু হবে-এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আলোচনা ফাইনাল হলে তখন জানানো যাবে।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...