টেকনাফ স্থল বন্দরে মিথ্যা ঘোষনায় আমদানী পন্যের আড়ালে আনা বিপুল পরিমান মিয়ানমার বাহিনীর সেনা পোষাক জব্দের ঘটনায় শুল্ক আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন সেলিম জানান, মিথ্যা ঘোষনায় সেনা পোষাক আমদানীর ঘটনায় জড়িত সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স রহমান ট্রেডিং, আমদানী কারক এআর ট্রেডিং ও বো অং চায় মারমা নামে বিজিবি কর্তৃক বুধবার রাতে আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শুল্ক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভাগীয় অনুমতি ও ইনভেন্ট্রি সম্পন্ন করেছে শুল্ক বিভাগ। বৃহস্পতিবার রাতেই মামলাটি দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বিজিবি ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ জানান, জব্দকৃত পোষাক, ব্যাজসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখা গেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পোষাকের সাথে এসব পোষাকের মিল রয়েছে।
এছাড়া বুধবার রাতে বিজিবি কর্তৃক আটক মারমা যুবক বো অং চায় মারমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ্য করা হয়েছে।
ধৃত যুবকই সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স রহমান ট্রেডিংকে টেকনাফ স্থল বন্দর থেকে উক্ত পন্য খালাসের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিল করেছিল। আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তি উক্ত সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই আব্দুর রহিম একসময় টেকনাফ স্থল বন্দরে চাকুরী করতো। পরে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে সে সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে আসছিলেন।
এছাড়া আমদানীকারক এআর ট্রেডিংয়ের মালিক মোঃ সালাম যশোরের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবসার পাশাপাশি ড্রাফট বেচা কেনায় জড়িত। একারনে ব্যবসায়ীদের কাছে ড্রাফট সালাম নামে পরিচিত।
বন্দর সংশ্লিষ্ট অনেকে ধারনা করছেন জড়িতদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক গোপন তথ্য বের হয়ে আসতে পারে।
এদিকে এ ঘটনায় বান্দরবানের মারমা যুবকের জড়িত থাকার ঘটনায় দেশের জন্য গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন অনেকে।
সংশ্লিষ্ট অনেকে ধারনা করছেন এসব পোষাক বান্দরবান সীমান্তে ব্যবহারের জন্যই আনা হচ্ছিল।