নিউজ ডেস্ক :
ফ্রান্সে ৩২ কোটি ডলার মূল্যের বিলাস বহুল একটি বাড়ির রহস্যময় ক্রেতা কে, বিষয়টি এতদিন অজানা ছিল। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০১৫ সালে কেনা বাড়িটির মালিক সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
বিভিন্ন শেল কোম্পানির মাধ্যমে বাড়িটি তিনি কিনেছেন।
শেল কোম্পানি হলো একধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা ভবিষ্যতে ব্যতিক্রমী কোনো আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হয়।
নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, বিভিন্ন দলিলপত্রে দেখা যাচ্ছে বাড়িটির মালিক একটি ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, যা প্রিন্স মোহাম্মদের ব্যক্তিগত ফাউন্ডেশন পরিচালনা করে।
তবে প্রতিবেদনটি নিয়ে সৌদি সরকার কোন মন্তব্য করেনি।
এদিকে, ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, নিউ ইয়র্ক টাইমস ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই রিপোর্ট করেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রিন্স মোহাম্মদ সৌদি আরবে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযান পরিচালনা করছেন।
এসব অভিযানে আটক কয়েকজন প্রিন্স, মন্ত্রী এবং বিলিয়নিয়ারসহ প্রভাবশালী কয়েক ডজন সৌদি ব্যক্তিত্বকে রিয়াদের পাঁচতারকা হোটেল রিৎজ-কার্লটনে বন্দি রাখা হয়েছে।
কেমন সেই বাড়ি?
শ্যাঁতু লুই ফোরটিন নামের বাড়িটি ১৭ শতকে ফ্রান্সের ভার্সাই প্রাসাদের আদলে তৈরি করা হয়েছে। প্রাসাদটির কাছেই বাড়িটি অবস্থিত।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে দুর্গ হিসেবে নির্মিত বাড়িটিকে ২০০৯ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়।
বাড়িটিতে একটি ওয়াইন সেলার এবং একটি সিনেমা হল রয়েছে।
বাড়িটি ঘিরে চারদিক থেকে পরিখা খনন করা রয়েছে। আর পানির নিচে রয়েছে একটি বিশেষ চেম্বার।
২০১৫ সালে বাড়িটিকে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সবচাইতে দামী বাড়ি বলে আখ্যা দিয়েছে।
বাড়িটিতে থাকা ফোয়ারা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, আলো এবং মিউজিক সিস্টেম স্মার্টফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
২০১৫ সালে প্রিন্স মোহাম্মদ এক রুশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৬০ কোটি ডলার খরচ করে একটি ইয়ট কিনেছিলেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমস ওই রিপোর্টে আরো দাবি করা হয়েছে, মাত্র গত মাসে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া লিওনার্দো দা ভিঞ্চির চিত্রকর্মটির মালিক ছিলেন প্রিন্স মোহাম্মদ।
''স্যালভ্যাতো মুন্ডি (বিশ্বের ত্রাণকর্তা বা সেভিয়র অফ দ্য ওয়ার্ল্ড)" নামে পরিচিত ঐ চিত্রকর্মটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে দ্য ল্যুভর মিউজিয়ামে শোভা পেতে যাচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা