
শাহাদাত হোসেন রাকিব::
বাংলাদেশ এবং তুরস্কের সম্পর্ক আগের চেয়ে এখন অনেক গভীর। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ যে ভুমিকা রাখছে তা তুরস্কের কাছে প্রশংসিত। গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশটির ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোয়ান বাংলাদেশ সফর করেন। তার এ সফরে সম্পর্ক আরো জোরদার হয়। এখন দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সম্পর্ক আরো গভীর করার সুযোগ রয়েছে।
ইউরোপ সঙ্গমস্থলে অবস্থিত বলে তুরস্কের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিবর্তনে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়েছে। গোটা মানবসভ্যতার ইতিহাস জুড়েই তুরস্ক এশিয়া ও ইউরোপের মানুষদের চলাচলের সেতু হিসেবে কাজ করেছে। নানা বিচিত্র প্রভাবের থেকে তুরস্কের একটি নিজস্ব পরিচয়ের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রভাব পড়েছে এখানকার স্থাপত্য, চারুকলা, সঙ্গীত ও সাহিত্যে। গ্রামীণ অঞ্চলে এখনও অনেক অতীত ঐতিহ্য ও রীতিনীতি ধরে রাখা হয়েছে। তবে তুরস্ক বর্তমানে একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বিশ্বের অনেক দেশে যায়। এক্ষেত্রে তুরস্ককে প্রাধান্য দেয়া যায়। কারণ, দেশটির চিকিৎসা সেবা অনেক উন্নত। তাই সেখান থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে বাংলাদেশের মানুষ। এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর, ভারতসহ অনেক দেশের তুলনায় কম পড়বে খরচ। আর বাংলাদেশেরও তুরস্কে ওষুধ রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমি তুরস্কে গিয়েছিলাম সরকারি সফরে। আমরা কোথায় চিকিৎসা করাই সে সম্পর্কে তারা আমাদের ব্যাপারে খবর রাখে। সফরে দেশটির প্রতিনিধিরা আমাকে বলেছিল, আপনারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যান। কিন্তু আমাদের দেশেও উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। প্রয়োজনে এখানে আনতে তুর্কি এয়ালাইন্সের টিকেটের টাকাতে ছাড় দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ঔষধের চাহিদা রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আমরা তুরস্কে সেটা রপ্তানি করতে পারি। এছাড়া কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ সেখান থেকে আমদানি করতে পারি। এছাড়া অনান্য দিকে দিয়েও দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারি। এজন্য এফবিসিসিআইসহ সবাইকে আহ্বান জানাই, তুরস্কের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে তারা যেন এগিয়ে আসে।
পাঠকের মতামত