প্রকাশিত: ২২/০৩/২০১৯ ২:০৯ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
একপাশে সবুজ পাহাড়, ওপাশে নীল সমুদ্র। মাঝখান দিয়ে এঁকে বেঁকে চলে গেছে দীর্ঘ পিচ ঢালা মসৃণ পথ। এ পথের পুরোটাই পাহাড়-সমুদ্রের মিতালি। আর এই পাহাড়-সমুদ্রের মিতালি দেখতে যায় কক্সবাজারে মেরিনড্রাইভ সড়ক থেকেই। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ছুঁয়ে এ মেরিন ড্রাইভ সড়ক এরই মধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম সড়ক খেতাব পেয়েছে।
রাস্তার দু’পাশে নয়ন জুড়ানো দৃশ্য দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই হিমছড়ির দরিয়ানগরে। জায়গাটিতে বেশিরভাগ মানুষই একটা উদ্দেশ্য নিয়েই যায়, অ্যাডভেঞ্চার। ট্রেকিং, ক্লাইম্বিং, প্যারাগ্লাইডিং, প্যারাসেইলিং, বাঞ্জি জাম্প, স্কুবা ডাইভিং, কায়াকিংসহ আরো কত রকমের অ্যাডভেঞ্চার আছে এই দুনিয়াতে। আমাদের দেশেও হাতে গোনা কিছু অ্যাডভেঞ্চার অ্যাক্টিভিটিস হয়ে থাকে। উল্লেখ্য ট্রেকিং, প্যারাসেইলিং, স্কুবা ডাইভিং এবং কায়াকিং।

দরিয়ানগর প্যারাসেইলিংয়ের জন্যই পরিচিত। পাখির দৃষ্টিতে সমুদ্রের উপর দিয়ে দেখা যাবে প্যারাসেইলিংয়ের মাধ্যমে। গাঙচিলের মতো উড়ে উড়ে সমুদ্রও দেখার জন্য প্যারাসেইলিংয়ের জুড়ি নেই। একটি প্যারাসুট আর স্পীড বোটের মাধ্যমে এটি করা হয়। প্যারাসুটের মাধ্যমে আপনাকে উড়িয়ে দেয়া হবে আর ঐ প্যারাসুটের দড়ি বাঁধা থাকে স্পীড বোটে।

এই দুইয়ের সমন্বয়ে কয়েক মিনিটের জন্য পাখির দৃষ্টি নিয়ে সমুদ্রের উপর ভেসে থাকতে পারেবেন। অনেকটা ঘুড়ি এবং নাটাইয়ের মতো। ঘুড়ি হাতে নিয়ে উড়িয়ে দেয়ার জন্য যেমন উঠানের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত দৌড়ান হয় ঠিক তেমনে স্পীড বোটের মাধ্যমে এক পাশ থেকে আরেক পাশে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তবে এর নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও পরবর্তীতে তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে সেই সন্দেহ দূর হয়েছে।

দরিয়ানগরে প্যারাসেইলিং-এর জনপ্রতি খরচ ১,৫০০ টাকা। যদি গাঙচিলের ন্যায় পানিতে হালকা পা ডুবাতে চান তাহলে ২,০০০ টাকা লাগবে।

নির্দেশনা

প্রথমে আপনাকে কক্সবাজার আসতে হবে। সেখান থেকে অটোতে ২০-২৫ টাকা ভাড়া দিয়ে দরিয়ানগর যেতে হবে। যাত্রা পথেই দেখবেন কেউ না কেউ প্যারাসেইলিং করছে।

পাঠকের মতামত

একটি পেঁয়াজের ওজন ৯ কেজি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ ফলাতে সক্ষম হয়েছেন ব্রিটিশ এক কৃষক। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ...

বাতিঘরের দ্বীপ কুতুবদিয়া

চিকচিক বালি নীল জলরাশি ঢেউয়ের গর্জনের সমুদ্দুর পাখির ডাকে সকালের রোদ্দুর আকাশের বিশালতা গায়ে চাদর ...